ব্যুরো নিউজ ২৮ সেপ্টেম্বর: সম্পর্কের বরফ গলতে শুরু করেছে কিছুদিন আগেই, এবং এবার মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জুর ভারতে আসছেন দ্বিপক্ষীয় সফরে। দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন সূত্র অনুযায়ী, সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহে, অর্থাৎ ৭ থেকে ৯ তারিখের মধ্যে মুইজ্জু দিল্লি আসতে পারেন। তবে সফরের তারিখ দুই দেশের সুবিধা অনুযায়ী চূড়ান্ত করা হবে।
কার সাথে বিছিন্ন হতে চলেছে সম্পর্ক
গত বছরের নভেম্বর মাসে ভারতবিরোধী মনোভাব ও ‘আউট ইন্ডিয়া’ আন্দোলনের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হন মুইজ্জু। তিনি প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথমেই ৮৮ জন ভারতীয় সেনাকে দেশে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সাধারণত, মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট প্রথম বিদেশ সফর হিসেবে ভারতকেই বেছে নেন, কিন্তু মুইজ্জু সেই প্রথা ভেঙে প্রথমে তুরস্ক ও পরে চীন সফর করেন। চীনে তিনি মন্তব্য করেন, “আমরা ছোট দেশ হতে পারি, কিন্তু কেউ আমাদের চোখ রাঙাতে পারে না।ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির লাক্ষাদ্বীপ সফরের পর, মালদ্বীপের দুই মন্ত্রী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অসম্মানজনক মন্তব্য করেছিলেন। সেই মন্তব্যের বিরুদ্ধে প্রবল সমালোচনা শুরু হলে মুইজ্জু সরকার তাদের বরখাস্ত করে। এরপর মালদ্বীপে ভারতীয় সেনা অপসারণের কাজ শুরু হয় এবং মে মাসের মধ্যে তা সম্পন্ন হয়। মালদ্বীপের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মুসা জমির মে মাসে ভারতে আসেন এবং তার পরে জুন মাসে মুইজ্জু দিল্লি সফর করেন।
আগস্ট মাসে, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর মালদ্বীপ সফর করেন এবং সেখানে ‘প্রতিবেশী প্রথম নীতি’ সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেন। তিনি বলেন, “মালদ্বীপের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন ভারতের অগ্রাধিকার।”মুইজ্জুর যুক্তরাষ্ট্র সফরে জাতিসংঘের আসরে যোগ দেওয়ার সময়ও দেখা যায়, তিনি ভারতের প্রতি অসন্মানজনক মন্তব্যের জন্য তাঁর দুই মন্ত্রীকে দায়ী করেন এবং জানান, “এমন কথা বলা উচিত নয়।”বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কেও কিছু টানাপোড়েন দেখা দিয়েছে, কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে বৈঠক শেষে তা গলানোর ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। চভারতের নীতিনির্ধারকদের মতে, মালদ্বীপের মতো বাংলাদেশের সঙ্গেও সম্পর্ক ক্রমেই বিছিন্ন হবে, যদি দুই দেশের স্পর্শকাতরতার বিষয়ে সতর্ক পদক্ষেপ নেওয়া হয়।