ব্যুরো নিউজ,২৭ সেপ্টেম্বর:বর্তমানে পুরুষের যৌন দুর্বলতা বাড়তে থাকা বিবাহবিচ্ছেদের অন্যতম প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।এই প্রতিবেদনের মূল উদ্দেশ্য হলো জনসচেতনতা তৈরি করা এবং কিছু ভুল ধারণা খণ্ডন করা। আমাদের দেশে পাশ্চাত্যের মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সেক্স এডুকেশনের সঠিক পাঠ্যক্রম নেই, যার ফলে তরুণ-তরুণীদের অনেক ভ্রান্ত ধারণা নিয়ে সংসার জীবনে প্রবেশ করতে হয়।
পুজোয় ওপেন পোরস ঢেকে নায়িকাদের মত মেকআপ করতে চান? রইল টিপস
শারীরিক সমস্যাগুলো প্রধানত দুই ধরনের
দাম্পত্য জীবনের শারীরিক সমস্যাগুলো প্রধানত দুই ধরনের: ইরেকটাইল ডিজফাংশন (ইডি) এবং দ্রুত বীর্যপাত (প্রিম্যাচিউর ইজাকুলেশন)। ইডি মূলত পুরুষাঙ্গে রক্ত চলাচল ও নার্ভের সমস্যার কারণে হয়ে থাকে। অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপ এ সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে, তাই এসব রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। অপরদিকে, সাইকোজেনিক ইমপোটেন্স, বিবাহের প্রথমদিকে বেশি দেখা যায়, যা মূলত মানসিক চাপ বা উদ্বেগের কারণে ঘটে। এই সমস্যা দ্রুত চিকিৎসায় সমাধান করা সম্ভব।দ্রুত বীর্যপাত (পিই) তখন ঘটে, যখন এটি এক মিনিটের মধ্যে ঘটে। তবে চিকিৎসার মাধ্যমে এটি নিয়ন্ত্রণ করা যায়। পুরুষের এ ধরনের দুর্বলতার চিকিৎসার জন্য সঠিক চিকিৎসক হচ্ছেন বিশেষজ্ঞ ইউরোলজিস্ট এবং অ্যান্ড্রোলজিস্ট।অ্যান্ড্রোলজিস্টের কাছে গেলে তিনি রোগীর শারীরিক পরীক্ষা করবেন এবং কিছু ল্যাব পরীক্ষা বা ডপলার আলট্রাসনোগ্রাম করতে হতে পারে। ডপলার পরীক্ষার মাধ্যমে রক্ত চলাচলজনিত সমস্যা নির্ধারণ করা যায়। পরীক্ষার সময় পুরুষাঙ্গে পেরোনিজ ডিজিজ বা অন্যান্য রোগ আছে কি না, তাও দেখা হয়।
তৃণমূল নেতা রাকেশ শীলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ
ইডি এবং পিই—দু’টিরই উন্নত চিকিৎসা রয়েছে। সঠিক পরামর্শ, ওষুধ, ইনজেকশন বা পিনাইল প্রসথেসিস/ইমপ্ল্যান্টের মাধ্যমে চিকিৎসা করা সম্ভব। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে এবং হরমোনজনিত সমস্যা থাকলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। প্রয়োজনে একজন মনোরোগবিদের সাহায্যও নেওয়া যেতে পারে।বিয়ের আগে অনেকেই মানসিক চাপ অনুভব করেন। উন্নত দেশে এখন প্রাক্-বিবাহ কাউন্সেলিং চালু আছে, যা বিবাহবিচ্ছেদ এবং দাম্পত্য অশান্তি কমাতে সাহায্য করে। তাই এ ধরনের সমস্যায় অভিজ্ঞ অ্যান্ড্রোলজিস্টের পরামর্শ নেওয়া উচিত।