ব্যুরো নিউজ, ২৪ সেপ্টেম্বর :জীবনের প্রতিদিনের ব্যস্ততার সঙ্গে সঙ্গে ঘর এবং বাইরে দু’দিক সামলাতে গিয়ে আমাদের ত্বক ও চুলের অবস্থা ক্রমশ খারাপ হয়ে যেতে পারে। বিশেষ করে পুজোর সময়ে যখন প্রস্তুতির মধ্যে দিন কাটাচ্ছে, তখনই এই সমস্যাগুলি আরও বেশি করে মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। অনেকেই দেখতে পান, রাতে তেল মাখার পরও চুল পড়া বন্ধ হচ্ছে না, বরং মুঠো মুঠো চুল পড়ছে। আসলে, সঠিক তেল বাছাই করা প্রয়োজন।
চটজলদি রোগা হতে চান? খান ফ্ল্যাক্স সিড
কি ভাবে বানাবেন এই তেল?
পুজোর আগে ব্রণ মুক্ত ত্বক পেতে ব্যাবহার করুন ঘরোয়া টোটকা
বাজারে প্রচলিত অনেক তেল ও প্রসাধনীর মধ্যে এমন কিছু রাসায়নিক উপাদান থাকে, যা চুলের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। সুতরাং, এমন তেল বেছে নিতে হবে যা চুলের গোড়াকে মজবুত করে এবং ভিতর থেকে পুষ্টি জোগায়। এতে চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত হবে এবং অকালে চুল পড়া রোধ হবে।
দুর্গাপুজোর আগেই খুশকি দূর করুন? বেকিং সোডা ও অন্যান্য প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে
আয়ুর্বেদে বেশ কিছু ভেষজ তেলের উল্লেখ করা হয়েছে, যেমন জবাফুলের তেল, তুলসী, নিম, জলপাই, কাঠবাদাম ইত্যাদি। এই সবের মধ্যে তুলসীর তেল বিশেষভাবে রুক্ষ ও শুষ্ক চুলের জন্য উপকারী। তুলসী পাতায় রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-ভাইরাল উপাদান, যা মাথার ত্বকে ব্রণ বা র্যাশ হলে উপকারে আসে।
একটি সহজ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আপনি তুলসীর তেল তৈরি করতে পারেন। প্রথমে টাটকা তুলসী পাতা সংগ্রহ করুন এবং সেগুলি ভালো করে শুকিয়ে নিন। এরপর একটি কাচের জারে তুলসী পাতাগুলি গুঁড়ো করে পিষে নিন। জারটির মধ্যে নারকেল তেল বা জলপাইয়ের তেল ভরে দিন, যাতে তুলসী পাতাগুলি ভাসমান থাকে।
দুর্গাপুজোর আগেই খুশকি দূর করুন? বেকিং সোডা ও অন্যান্য প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে
এরপর, জারটি রোদে ২ থেকে ৩ সপ্তাহ রেখে দিন। এভাবে তুলসী পাতাগুলি তেলে পুরোপুরি মিশে যাবে। এই তেলটি প্রতিদিন নিয়মিত চুল ও মাথার ত্বকে মালিশ করতে হবে। এভাবে ব্যবহার করলে চুলের বৃদ্ধি হবে, চুল উজ্জ্বল ও জেল্লাদার হবে।