ব্যুরো নিউজ,২৪ সেপ্টেম্বর:আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেন্সিক মেডিসিনের অধ্যাপক ডা. অপূর্ব বিশ্বাস অভিযোগ করেছিলেন, চাপ দিয়ে তড়িঘড়ি মৃতা তরুণী চিকিৎসকের ময়নাতদন্ত করানো হয়েছে। এই অভিযোগ ছিল নির্যাতিতার ‘কাকা’ সঞ্জীব মুখোপাধ্যায়ের বিরিদ্ধে, যিনি একজন তৃণমূলের প্রাক্তন কাউন্সিলর। সঞ্জীব মুখোপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমের সামনে সাফ বলেছেন, ‘সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা।’
বন্যার ফলে কৃষকদের দুর্দশা কারনে আকাশছোঁয়া হচ্ছে শাকসবজির দাম
সঞ্জীব মুখোপাধ্যায় ফোনে কি বললেন?
সঞ্জীব মুখোপাধ্যায় ফোনে বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। সিবিআইকে বলব, অভিযোগকারীকে সঙ্গে বসিয়ে আমায় জিজ্ঞাসা করা হোক।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি অবাক। অপূর্ব বিশ্বাসকে আমি চিনি না, তাহলে তিনি কীভাবে আমাকে চিনলেন?’ সঞ্জীব জানিয়েছেন, ‘মৃতার মা-বাবাকে অনুরোধ করবেন তদন্তের স্বার্থে সিবিআই তাকে ডাকতে পারে।’ এদিন সন্ধ্যায় সঞ্জীব স্থানীয় বিধায়ক নির্মল ঘোষের সঙ্গে দেখা করেন। বৈঠকে ছিলেন তৃণমূলের সাংসদ পার্থ ভৌমিক এবং দুই বিধায়ক সুবোধ অধিকারী ও সোমনাথ শ্যাম। রবিবার সিবিআইয়ের তলবের পর আরজি কর হাসপাতালের ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ ডা. অপূর্ব বিশ্বাস সংবাদমাধ্যমে দাবি করেছিলেন, ‘ঘটনার দিন মেয়েটির কাকা পরিচয় দিয়ে হুঁশিয়ারির সুরে আমাদের বলেছিলেন, ‘দ্রুত ময়নাতদন্ত করতে হবে। নাহলে রক্তগঙ্গা বইয়ে দেওয়া হবে।’ পরে ওই ব্যক্তি নিজেকে প্রাক্তন কাউন্সিলর হিসাবেও পরিচয় দেন।এদিকে সঞ্জীব মুখোপাধ্যায়ের পালটা দাবি, ‘কেন ও কী উদ্দেশ্যে এ কথা বলছেন, জানি না। তবে, আমি যে প্রাক্তন কাউন্সিলর ছিলাম, সেটা তিনি খুব গুছিয়ে বলছেন। আমি ২০০৮ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত সিপিএমের কাউন্সিলর ছিলাম, কিন্তু কাউকে পরিচয় দিইনি।’ সঞ্জীব জানান, তিনি ২০১৯ সালে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।
অনুব্রত মণ্ডলের বীরভূমে প্রত্যাবর্তন
তিনি প্রতিবেশী প্রাক্তন কাউন্সিলরের দাবি উড়িয়ে দিয়ে বলেন, ‘এরকম কিছু আমার সঙ্গে হয়নি। পুলিশ এবং স্বাস্থ্যদপ্তরের লোকেরা তখন উপস্থিত ছিল। ছাত্রদের দাবি মেনেই সব কিছু হয়েছে।’ সঞ্জীব আরও বলেন, ‘ময়নাতদন্তের সময়, মৃতদেহ নিচে নামিয়ে আনার সময়, আমি মৃতার মা-বাবাকে বলি, এটা সহ্য করা যাবে না। তারপর আমরা টালা থানায় এফআইআর করতে যাই।’এভাবে আর জি কর কাণ্ডে অভিযোগ এবং পালটা অভিযোগের পালা চলছে। সকলেই চাইছেন যেন এই অভিযোগের জালে সুবিচার হারিয়ে না যায় এবং সঠিক তদন্ত হয়।