darjeeling-tourist-empty-heat-wave

ব্যুরো নিউজ,২৩ সেপ্টেম্বর:এই মুহূর্তে দার্জিলিংয়ের ম্যাল পুরোপুরি শূন্য। যে ভিড় সাধারণত এখানে দেখা যায়, তা আজ কেবল ইতিহাস। স্থানীয়রা সকালের পর থেকে কোথাও নেই। ঘোড়াগুলি ক্লান্ত হয়ে লালা ঝরাচ্ছে, চকবাজার শুনশান। ব্যবসায়ীরা ফ্যানের হাওয়ায় নিজেদের ঠাণ্ডা করার চেষ্টা করছেন। মোটর স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ির চালকরা একঘেয়ে হয়ে পড়েছেন। গরমের ফলে তারা সিটে এলিয়ে পড়েছেন।

অভিষেক বচ্চনের নতুন সিনেমা; বাবা-মেয়ের গল্প

স্বস্তির খোঁজে পাহাড়ে

এই অস্বস্তিকর দৃশ্য দার্জিলিংয়ে দীর্ঘ দিন পর দেখা গেল। শনিবার আবহাওয়া দপ্তরের রিপোর্ট অনুযায়ী, দার্জিলিং সেপ্টেম্বর( ২০২৪) মাসে ১৯৭৩ সালের রেকর্ড ভেঙেছে। ৩ সেপ্টেম্বর, ১৯৭৩ সালে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৭.৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড, কিন্তু এবারে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮.২ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে।এখন কেবল দার্জিলিং নয়, গ্যাংটকেও গরমের দাপট অনুভূত হচ্ছে। সেখানে তাপমাত্রা ২৬.৬ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে পৌঁছেছে, যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। গত কয়েকদিন ধরে উত্তরবঙ্গের সমতলও দহনজ্বালায় ভুগছে। যারা একটু স্বস্তির খোঁজে পাহাড়ে আসতে চাইছেন, কিন্তু তাদের জন্য এটা দুসংবাদ।

লেবাননে ইজ়রায়েল-হিজবুল্লার সংঘর্ষ, আতঙ্কিত জনতা

সাধারণত এ সময় গাড়ির কাঁচ খুলে দিয়ে একটু হিমেল হাওয়া নেওয়ার রীতি থাকে, কিন্তু এবারে কাঁচ খুললে আগুনের মতো গরম হাওয়া প্রবাহিত হচ্ছে। পাহাড়ে আসা পর্যটকরা বুঝতে পারছেন, ‘সেই শৈলরানি আর নেই’। চাঁদমারি বাজারের টুপি বিক্রেতা সুমিত্রা গুরুং মজা করেই বলছেন, ‘সূর্যের জন্য কিছুটা ব্যবসা ভালো হচ্ছে। অনেকেই হ্যাট কিনছেন।’দার্জিলিংয়ের পরিস্থিতি এমন যে, পর্যটকরা ফিরে যাচ্ছেন। তারা ভাবছেন, এই তাপমাত্রায় হোটেলে থেকে টাকা ও সময় নষ্ট করার কোনও মানে নেই। তাপমাত্রার কারণে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা চিন্তিত, কারণ ১০ নম্বর জাতীয় সড়কও দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ। এ অবস্থায় পর্যটন ব্যবসা তলানিতে গিয়ে পৌঁছেছে।আবহাওয়া দপ্তরের কেন্দ্রীয় অধিকর্তা গোপীনাথ রাহা জানিয়েছেন, ‘সোমবার থেকে পরিস্থিতির পরিবর্তন শুরু হবে। তাপমাত্রা কমতে পারে এবং বুধবার থেকে স্বস্তি ফিরতে পারে।’

URL Slug: darjeeling-tourist-empty-heat-wave

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর