ব্যুরো নিউজ,২০ সেপ্টেম্বর:রাশিয়া বর্তমানে গুরুতর জন্মহার সংকটের মুখোমুখি। এই সমস্যার সমাধানের জন্য দেশটির সরকার নাগরিকদের কর্মক্ষেত্রে মধ্যাহ্নভোজ এবং কফি বিরতির সময় সঙ্গমের পরামর্শ দিয়েছে। বিষয়টি শুনে অবাক হলেও, সরকারের এই নিদান বাস্তবে কার্যকর করার চেষ্টা চলছে।রাশিয়ার জন্মহার বর্তমানে মহিলা প্রতি ১.৫, যা দেশের জনসংখ্যা স্থিতিশীল রাখতে প্রয়োজনীয় ২.১-এর তুলনায় যথেষ্ট কম। এমন পরিস্থিতিতে রুশ সরকার উদ্বিগ্ন হয়ে কর্মক্ষেত্রে সঙ্গম করার পরামর্শ দিয়েছে। সরকারের এই উদ্যোগের মূল কারণ হল দেশের জন্মহার হ্রাসের প্রবণতা, যেটি রাশিয়ার ভবিষ্যৎকে বিপন্ন করে তুলছে।
শুভশ্রীর আদুরে মা-মেয়ে নতুন ছবিতে খুঁজে পেলেন ভক্তরা রাজের ছায়া
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ
রাশিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইয়েভজেনি শেস্তোপলোভ সম্প্রতি সাংবাদিকদের বলেছেন, কর্মক্ষেত্রে অতিরিক্ত ব্যস্ততার অজুহাত দিয়ে সন্তানধারণ এড়ানো উচিত নয়। তিনি জানান, জীবন দ্রুত চলে যাচ্ছে এবং কাজের ফাঁকে সঙ্গম করার জন্য সময় বের করা সম্ভব। কর্মীদের সন্তান ধারণে উদ্বুদ্ধ করার জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।জন্মহার কমে যাওয়ার পেছনে একটা বড় কারণ হল রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ । রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর প্রায় ১০ লক্ষ তরুণ-তরুণী দেশ ছাড়ে।ফলে জনসংখ্যার উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে সেই কারনে। এই উদ্বেগের কারণেই পুতিন সরকারের থেকে সঙ্গমের আহ্বান এসেছে।
অর্থনৈতিক বৈষম্য; দক্ষিণের রাজ্যগুলির উত্থান এবং পশ্চিমবঙ্গের পতন
এর আগে পুতিন নিজেও জাতীয় স্তরে জন্মহার হ্রাসের গুরুত্ব উল্লেখ করেছেন। দেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির জন্য সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। বিনামূল্যে মহিলাদের প্রজননক্ষমতা পরীক্ষা, সন্তানধারণে কর্মীদের উৎসাহিত করা এবং গর্ভপাত নিষিদ্ধ করার মতো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।বিশেষ করে রাশিয়ার চেলিয়াবিনস্ক অঞ্চলে ২৪ বছরের কম বয়সী মহিলাদের প্রথম সন্তানের জন্য ৮,৫০০ পাউন্ড দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। এসব পদক্ষেপের মাধ্যমে সরকার সমাজে সন্তানের প্রতি আগ্রহ বাড়ানোর চেষ্টা করছে। রাশিয়ার সরকারের এই সঙ্গমের আহ্বান নতুন মাত্রা যোগ করেছে দেশের জনসংখ্যা সংকট মোকাবেলার প্রচেষ্টায়। তবে প্রশ্ন রয়ে গেছে—কর্মক্ষেত্রে সঙ্গমের এই পরামর্শ আদৌ কার্যকর হবে কিনা, তা সময়ই বলবে।