ব্যুরো নিউজ,১৭ সেপ্টেম্বর:আরজি কর কাণ্ডের প্রেক্ষাপটে কলকাতা পুলিশের শীর্ষ পদের ব্যাপক রদবদল করা হলো। জুনিয়র ডাক্তারদের দীর্ঘদিনের আন্দোলনের ফলস্বরূপ কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীতকুমার গোয়েলকে তার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাকে পশ্চিমবঙ্গ স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএএফ)-এর এডিজি পদে নিয়োগ করা হয়েছে। এ ছাড়া, পুলিশের অন্যান্য শীর্ষ পদেও বেশ কিছু পরিবর্তন হয়েছে।
অদিতি-সিদ্ধার্থের প্রেমের গল্প: সাতপাকে বাঁধা পড়লেন দুই তারকা
পুলিশ কমিশনার পদ থেকে বিনীতকে সরানো হয়েছে
কলকাতা পুলিশের ডিসি (উত্তর) অভিষেক গুপ্তকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং তার জায়গায় নিয়োগ করা হয়েছে দীপক সরকারকে, যিনি আগে শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি (পূর্ব) ছিলেন। অভিষেক গুপ্তকে ইএফআর-এর সেকেন্ড ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার পদে নিয়োগ করা হয়েছে। কলকাতা পুলিশ কমিশনার পদে মনোজ বর্মাকে নিয়োগ করা হয়েছে, যিনি রাজ্যের এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) ছিলেন। মনোজ বর্মার স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন জাভেদ শামিম, যিনি আগে পশ্চিমবঙ্গের গোয়েন্দা বিভাগের এডিজি ছিলেন। নতুন এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন জাভেদ শামিম। অপরদিকে, পশ্চিমবঙ্গ স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের (এসটিএএফ) এডিজি পদে নিয়োগ পেয়েছেন বিনীতকুমার গোয়েল। তার পূর্বসুরী ত্রিপুরারি অথর্বকে ডিরেক্টরেট অফ ইকোনমিক অফেন্সেস-এর ডিরেক্টর পদে নিয়োগ করা হয়েছে।গত ৯ আগস্ট কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে এক চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়, যাকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনার পর থেকে জুনিয়র ডাক্তাররা পাঁচ দফা দাবি নিয়ে আন্দোলন শুরু করেন, যার মধ্যে একটি ছিল কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীতকে অপসারণ করা। তাদের দাবি মেনে রাজ্য সরকার বিনীতকে কমিশনার পদ থেকে সরিয়ে দেন এবং ডিসি সেন্ট্রাল অভিষেককেও অপসারণ করেন।
জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি: সুপ্রিম কোর্টের পরবর্তী নির্দেশ কি?
এর আগে, লালবাজার অভিযান করে জুনিয়র ডাক্তাররা কমিশনার বিনীতের বিরুদ্ধে স্মারকলিপি জমা দেন এবং প্রতীকি মেরুদণ্ড তুলে দেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, সিপি পদত্যাগ করার জন্য বার বার অনুরোধ করেছিলেন, কিন্তু তিনি তা মঞ্জুর করেননি। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘সামনে পুজো রয়েছে, ধৈর্য ধরুন। দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিকে আইনশৃঙ্খলা জানতে হবে।’বিনীত গোয়েল এ বিষয়ে বারবার দাবি করেছেন যে, কলকাতা পুলিশ যথাযথ পদক্ষেপ করেছে এবং গোটা ঘটনায় তিনি ‘ক্রুদ্ধ’। তিনি জানান, পুলিশ সবকিছু করেছে এবং মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে, ১৪ আগস্টের হিংসার ঘটনা নিয়ে ব্যর্থতার কথা স্বীকার করেছেন। তা্র মতে, স্বতঃস্ফূর্ত জমায়েত নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন, বিশেষত যখন কোন নেতা উপস্থিত থাকে নাঅবশেষে, আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের দাবি মেনে কলকাতার পুলিশ কমিশনার পদ থেকে বিনীতকে সরানো হয়েছে।