ব্যুরো নিউজ,১৩ সেপ্টেম্বর:রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস আরজি কর-কাণ্ডের প্রেক্ষাপটে সাধারণ মানুষের আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এক ভিডিয়ো বার্তায় তিনি ঘোষণা করেছেন যে, তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামাজিকভাবে বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বোস নাম উল্লেখ না করেই মুখ্যমন্ত্রীকে ‘লেডি ম্যাকবেথ’ বলে কটাক্ষ করেছেন।ভিডিয়ো বার্তায় রাজ্যপাল বলেন, “রাজ্যপাল হিসেবে আমি মুখ ফিরিয়ে থাকতে পারি না। বাংলার সমাজের পাশে দাঁড়িয়ে, আমি স্থির করেছি যে আমি মুখ্যমন্ত্রীকে সামাজিকভাবে বয়কট করব। আমি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কোনও সরকারি মঞ্চে থাকব না। মুখ্যমন্ত্রী যদি কোনও সরকারি অনুষ্ঠানে থাকেন, তাহলে আমি সেখানে উপস্থিত থাকব না।”
ধস পরিস্থিতিতেই উত্তরবঙ্গে লাল সতর্কতা! ভ্যাপসা গরম থেকে দক্ষিণের স্বস্তি কবে?
নবান্ন সত্যিটা মুছে ফেলতে পারে না
বুধবার দুপুর থেকে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে ধর্নায় বসে আছেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা। তাদের দাবিগুলো নিয়ে সরকারের সঙ্গে ইমেইলে যোগাযোগ চালানো হলেও, এখনও কোনো ফলপ্রসূ আলোচনা হয়নি। বৃহস্পতিবার একবার আবার নবান্নে বৈঠকের জন্য ডাকাও হয়েছিল, কিন্তু আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধিদল নবান্ন পর্যন্ত পৌঁছেও বৈঠক ব্যর্থ হয়। এই পরিস্থিতির জন্য রাজ্যপাল রাজ্য সরকারকে দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, “রাজ্য সরকার সমাজের এবং নির্যাতিতার বাবা-মায়ের অনুভূতিকে গুরুত্ব দেয়নি। নবান্ন সত্যিটা মুছে ফেলতে পারে না। আপনি কিছু মানুষকে কখনও বোকা বানাতে পারেন, কিন্তু সবাইকে সবসময় বোকা বানাতে পারবেন না।”
হিনা খানের নতুন চ্যালেঞ্জ: কেমোথেরাপির পর মিউকোসাইটিসের ধাক্কা
রাজ্যপাল স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকেও তীব্র সমালোচনা করেছেন। তা্র মতে, “স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে ব্যর্থ হয়েছেন। রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ব্যাপারে তিনি অপর্যাপ্ত। স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এক ব্যক্তি, যিনি মুখ্যমন্ত্রীও। তিনি সকলকে রক্ষা করার পরিবর্তে প্রতিবাদে জড়িয়ে পড়েছেন।”একইসঙ্গে কলকাতার পুলিশ কমিশনারের ভূমিকা নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেন রাজ্যপাল। তিনি দাবি করেন, আন্দোলনকারীদের অভিযোগে পুলিশ কমিশনারের বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ করা উচিত। বোস জানান, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে তিনি ‘মর্মাহত’ এবং কমিশনারের কর্মকাণ্ডে ‘লজ্জিত’। পুলিশ কমিশনারের বিরুদ্ধে ফৌজদারি পদক্ষেপ করার আহ্বান জানান তিনিএই পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যপালের মন্তব্য পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক আবহে নতুন উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে।