ব্যুরো নিউজ, ১১ সেপ্টেম্বর:আরজি কর কাণ্ড নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার প্রবল চাপের মুখে পড়েছে। নির্যাতিতার মৃত্যু ঘটার এক মাস পর, মুখ্যমন্ত্রীর উৎসব ফেরার আহ্বানে জনগণের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। মঙ্গলবার, স্বাস্থ্য ভবনের সামনে জুনিয়র ডাক্তাররা একটি সাফাই অভিযানে অংশ নেন এবং এখনো সেখানে অবস্থান বিক্ষোভ চলছে।
তেজপাতা ভিজানো জল খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা কী কী?আপনি কি জানেন
জাতীয় পুরস্কার জয়ী অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী
এই পরিস্থিতির মধ্যেই নতুন খবর এসেছে, যে জাতীয় পুরস্কার জয়ী অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে পথে নামতে যাচ্ছেন। উল্লেখযোগ্যভাবে, মিঠুন চক্রবর্তী বিজেপির হয়ে নয়, বরং একজন দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে প্রতিবাদে অংশগ্রহণ করছেন। কিছুদিন আগে, মিঠুন চক্রবর্তী আরজি কর কাণ্ড নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন, “এই বাংলাটাকেই আমি দেখতে চেয়েছিলাম। এখন দেখতে পাচ্ছি। খুব আনন্দ হচ্ছে।” তিনি আরও বলেন, “রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে সবাই যেন এই আন্দোলনে একসঙ্গে থাকি। আমি যা বলছি, সেটা বিজেপির পক্ষ থেকে নয়; আমি ব্যক্তিগতভাবে বলছি।”
আদালত চত্বরে সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ: নিরাপত্তার ঘেরাটোপে উত্তপ্ত পরিস্থিতি
মিঠুন চক্রবর্তী এবার মৌখিক প্রতিবাদ সীমিত রেখে সশরীরে প্রতিবাদ জানাতে পথে নামবেন। জানা যাচ্ছে, ১১ সেপ্টেম্বর, বুধবার, শহরের বিদ্বজনদের সঙ্গে তিনি পা মেলাবেন। এই দিনটি ঐতিহাসিক কারণেই স্মরণীয়, কারণ ১৩১ বছর আগে স্বামী বিবেকানন্দ শিকাগো শহরে তাঁর বক্তৃতার মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী বিবেকের জাগরণ ঘটিয়েছিলেন। মিঠুনের এই প্রতিবাদী মিছিল বিবেকানন্দ রোড থেকে শুরু হয়ে শ্যামবাজার পাঁচমাথা মোড় পর্যন্ত চলবে। সেখানে নেতাজি সুভাষচন্দ্রের মূর্তির পাদদেশে এসে শেষ হবে।
প্রসঙ্গত, গত ৯ আগস্ট আরজি কর হাসপাতালের সেমিনার হলে এক মহিলা চিকিৎসকের অর্ধনগ্ন মৃতদেহ উদ্ধার হয়। প্রথমে আত্মহত্যার তত্ত্ব থাকলেও, শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখে জানা যায় তাঁকে ধর্ষণ ও খুন করা হয়েছে। এই ঘটনার পর সঞ্জয় রায় নামে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। রাজ্য রাজনীতিতে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড নিয়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে। সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে সিবিআই এই মামলার তদন্ত করছে।এই ধরনের প্রতিবাদ মিঠুন চক্রবর্তীর মতো সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের involvement এর মাধ্যমে আন্দোলনের নতুন মাত্রা পাবে।