ব্যুরো নিউজ,১৩ আগস্ট: আরজি কর কাণ্ডে সোমবার ইস্তফা দেয় প্রিন্সিপাল সন্দীপ ঘোষ। আর তারপরেই মমতার সরকার তাকে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপালের দায়িত্ব দেয়। ২৪ ঘন্টা পেরোতে না পেরোতেই সরকারের স্বাস্থ্য ভবন থেকে এই নির্দেশ আসা নিয়ে সারা রাজ্যে তোলপাড় শুরু হয়েছে। সন্দীপের এই নিয়োগ নিয়ে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে শুরু হয়ে যায় প্রতিবাদ আন্দোলন।
স্বর্ণকমল সাহা আর জাভেদ খানকে ঘিরে বিক্ষোভ
মঙ্গলবার সকাল থেকেই সন্দীপ ঘোষের নিয়োগের প্রতিবাদ জানিয়ে চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসক থেকে পড়ুয়ারা সকলেই অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন। তাদের দাবি ছিল, কোনোমতেই সন্দীপ ঘোষকে সেখানে প্রিন্সিপাল হিসেবে তারা মেনে নেবেন না। তার নির্ধারিত ঘরে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। অবস্থান-বিক্ষোভ আস্তে আস্তে বাড়তে থাকে। তা এমন মাত্রায় পৌঁছে যায় যে কোনোভাবেই সন্দীপ নাম শুনতে চাইছেন না ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক থেকে পড়ুয়ারা। তার বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে দেখা যায় পড়ুয়াদের। আর তারপরেই ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান তৃণমূল বিধায়ক স্বর্ণকমল সাহা মেডিক্যাল কলেজে পৌঁছান।
১৫ই আগস্ট মেট্রো রেল পরিষেবা কম। ভোগান্তি হতে পারে যাত্রীদের
RKS চেয়ারম্যান স্বর্ণকমল সাহার সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের আরেক মন্ত্রী জাভেদ খান। তারা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে পৌঁছতেই তাদেরকে ঘিরে প্রশ্ন করতে থাকেন পড়ুয়ারা। তারপরেই শুরু হয়ে যায় বিক্ষোভ। তৃণমূলের বিধায়ক স্বর্ণকমল সাহা এবং জাভেদ খানকে ঘিরে বিক্ষোভ একেবারে তুঙ্গে উঠে যায়। পড়ুয়ারা তাদের ঘিরে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দিতে থাকেন। ফলে আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। “অপরাধীদের” সঠিক বিচার এবং কঠোর শাস্তির দাবিতে শুরু হয়েছে প্রতিবাদ আন্দোলন।