ব্যুরো নিউজ,৬ আগস্ট: বাংলাদেশের পালা বদল হতেই শুরু হয়ে গিয়েছে সেখানকার সংখ্যালঘু সম্প্রদায় হিন্দুদের উপরে হামলা। বিভিন্ন সূত্র মারফত পাওয়া খবর অনুযায়ী, সেনাবাহিনীর মদতপুষ্ট বিএনপি এবং জামাত সন্ত্রাসীরা হিন্দুদের উপরে হামলা শুরু করে দিয়েছে। বাংলাদেশের একাধিক জায়গায় ইসকন মন্দিরসহ বহু মন্দিরে ইতিমধ্যেই হামলা হয়েছে। আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন বাংলাদেশের হিন্দু সহ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়।
জেল ভেঙে পালিয়ে যাচ্ছে অপরাধীরা
দেশ ছাড়লেন হাসিনা, জেলমুক্তি খালেদার, এক ঝলকে ফিরে দেখা..
এখনো পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, বাংলাদেশ জুড়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপরে নির্যাতন নিয়ে আওয়ামী লীগ বিরোধী হিসেবে পরিচিত সংখ্যালঘু সংগঠন হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের পদাধিকারীরা কোনো মন্তব্য করতে চাননি। সংগঠনের পক্ষে জানা গিয়েছে, চারটি মন্দিরে হামলার খবর পাওয়া গিয়েছে। যা যথেষ্টই আশংকাজনক। দেশজুড়ে হিন্দু নির্যাতনের ঘটনা জানার জন্য ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ সেনাবাহিনী হেল্পলাইন নম্বর চালু করেছে বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু তাতে কোনোরকম পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে না। শুধু তাই নয়, হিন্দু ব্যবসায়ী, রাজনীতিবীদ থেকে শুরু করে যে সমস্ত পেশার মানুষজন বাংলাদেশে রয়েছেন, তাদের যত শীঘ্র সম্ভব বাংলাদেশ ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জানা যাচ্ছে, বিএনপি- জামাত সন্ত্রাসীরা এই নির্দেশ জারি করছে।
পদ্মাপাড়ের দেশে কড়া নজর মোদি সরকারের, সর্বদল বৈঠক, সংসদে ব্যাখ্যা দিতে পারেন জয়শঙ্কর
এরমধ্যেই বাংলাদেশের একাধিক জেল ভেঙে শয়ে শয়ে অপরাধীরা পালিয়ে যাচ্ছেন। যতদূর পর্যন্ত খবর, এই নৈরাজ্যের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশে যে সমস্ত অপরাধীরা, জেল ভেঙে পালাচ্ছেন তাদের অধিকাংশই জামাত সন্ত্রাসী বলে বিভিন্ন সূত্র মারফত পাওয়া খবর থেকে জানা যাচ্ছে। ফলে বাংলাদেশ জুড়ে যে অরাজকতা চলছে, তা একরকম ভাবে এক্ষুনি বন্ধ হবে কিনা তা নিয়েও যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। হাসিনার জমানা শেষ হতেই হিন্দুদের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়েছে জামাত জঙ্গীরা। খালেদা জিয়ার দল বিএনপি তাদের সঙ্গী হয়েছে বলেই খবর পাওয়া যাচ্ছে। আতঙ্কে রাতের অন্ধকারে অনেকেই এক কাপড়ে বাস্তুভিটে ছেড়ে অজানা গন্তব্যের পথে পাড়ি দিয়েছেন। যদিও ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম যাতে সংখ্যালঘুদের উপর হামলা না হয় সেই কারণে নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু তাতেও পরিস্থিতির বদল নেই।