ব্যুরো নিউজ,২৭ জুলাই: গাইঘাটার সিরাজুল হক মন্ডলের চাকরি গিয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে বাঁচাতে গিয়ে। কিন্তু সেই চাকরি তিনি আজও পাননি। এমনটাই দাবি করেন সিরাজুল। নিজেকে ‘জীবন্ত শহীদ’ বলেও দাবি করেন তিনি।
মমতা ব্যানার্জির প্রাণ বাঁচিয়ে সিরাজুলের কি হল?
নীতি আয়োগের বৈঠক বয়কট ইন্ডিয়া জোটের, তবুও মমতা যাচ্ছেন কেন?নেপথ্যে কোন কারণ?
একুশে জুলাই। ১৯৯৩ সাল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তখন ছিলেন তৎকালীন কংগ্রেসের যুবনেত্রী। রাজ্যে তখন গদিতে ছিল বামফ্রন্ট সরকার। মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন জ্যোতি বসু। একুশে জুলাই বিরোধী দল কংগ্রেস মমতা ব্যানার্জির নেতৃত্বে রাইটার্স বিল্ডিং অভিযান করেছিল। রাইটার্স বিল্ডিং অভিযান রুখতে বামফ্রন্ট সরকারের অসংখ্য পুলিশ মোতায়েন ছিল। বিক্ষোভ দেখান কংগ্রেস কর্মীরা। প্রতিবাদ রুখতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। মমতা ব্যানার্জির প্রাণহানির আশঙ্কাও তৈরি হয় ওই বিক্ষোভে। আন্দোলনকারীদের ওপর লাঠিচার্জ করা হয়। এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাথা ফেটে যায় পুলিশের লাঠিচার্জ এ। এইরকম সময় তৎকালীন কলকাতা পুলিশের কনস্টেবল সিরাজুল হক মন্ডল মমতা ব্যানার্জি কে কোন এক অজানা কারণে বাঁচাতে যান এবং তার ফলে তার চাকরি যায় এমনটাই দাবি করেছেন তিনি। ওই বিক্ষোভ ১৩ জন আন্দোলনকারী মারা যান। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য সেই একুশে জুলাই দিনটিকেই তৃণমূল কংগ্রেস শহীদ দিবস হিসেবে পালন করে।
ইয়ে সিরফ ঝাঁকি হ্যায়..সিইএসসিকে ডেডলাইন দিলেন শুভেন্দু
সিরাজুল দাবি করেছেন তিনি বহুবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু যোগাযোগ হয়নি। অবশেষে ২০২৩ সালে মমতা ব্যানার্জি নিজেই ডেকে পাঠান সিরাজুল হককে। দুজনের মধ্যে আলোচনা হয় এবং জানতে পারা যায় যে মমতা ব্যানার্জি তাকে এককালীন 5 লক্ষ টাকা দেবার প্রস্তাব দেন। কিন্তু সিরাজুল সেই টাকা নিতে রাজি হননি। বরং তিনি মমতা ব্যানার্জির কাছে তার খোয়ানো চাকরি ফেরত চান। মমতা ব্যানার্জি আশ্বস্ত করেন তাকে চাকরি ফিরিয়ে দেওয়ার কিন্তু তারপরও কেটে গেছে এক বছর। চাকরি মেলেনি।
সিরাজুল এর বক্তব্য ওই দিন যে ১৩ জন আন্দোলনকারী মারা গিয়েছিলেন তাদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য এবং চাকরির ব্যবস্থা করা হয়েছে কিন্তু তিনি তো জীবন্ত শহীদ এবং মমতা ব্যানার্জিকে বাঁচানোর জন্যই তার চাকরিটি গেছে তাহলে তিনি কেন চাকরি পাবেন না? এখন সিরাজুল মন্ডল গাইঘাটার একটি চালা ঘরে থাকেন তার পরিবার নিয়ে। খুব কষ্টে দিন গুজরান হচ্ছে তার। তার এখন একটাই প্রশ্ন মমতা ব্যানার্জি তাকে চাকরিটা পাইয়ে তার যোগ্য সম্মান দেবেন তো?