ব্যুরো নিউজ, ৮ জুন : ২৪ -এর লোকসভা নির্বাচনে হুগলী থেকে দাড়িয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী তথা অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাঁর বিপক্ষে ছিল বিজেপি নেত্রীর তারকা মুখ লকেট চট্টোপাধ্যায়। অভিনয় জগৎ থেকে এসে প্রথমবার নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার পর থেকেই তাঁকে নিয়ে একের পর এক মিম ছড়াতে থাকে সামাজিক মাধ্যমে। টক দই, ধোঁয়া শিল্প, গরুর রচনা থেকে শুরু করে আরও কত কি! তবে এতো কিছুর পরেও ৭৬,৮৫৩ ভোটে জয়ী হন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আগামী দশ বছর কীভাবে কাজ করবে এনডিএ, শোনালেন মোদী
এদিকে বঙ্গে সবুজ ঝড় উঠলেও একাধিক বিষয়ে অসন্তোষ যেনও পিছু ছাড়ছে না ঘাসফুল শিবিরের। পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধান সহ একাধিক সদস্যদের মধ্যে ‘অসন্তোষ’। আর তার জেরেই পদত্যাগ! একের পর এক পঞ্চায়েত প্রধান, উপ প্রধানরা পদত্যাগ করছেন। কিন্তু কেন?
এবারের নির্বাচনে হুগলি লোকসভা কেন্দ্রে জিতলেও হুগলির সাতটি বিধানসভার মধ্যে তিনটিতেই পিছিয়ে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর চুঁচুড়া বিধানসভায় লকেটয়ের থেকে ৮,২৮৪টি ভোটে হেরেছেন রচনা। তাই লোকসভা কেন্দ্র জিতলেও বিধানসভায় ‘পাস মার্কস’ পাননি রচনা। আর তাতেই জয়ের আনন্দ অনেকটাই ফিকে হয়ে গিয়েছে তৃণমূল নেতা-কর্মী- সমর্থকদের মধ্যে। আর এই বিধানসভাগুলি তৃণমূলের হাত ছাড়া হতেই ‘ক্ষোভে ফুঁসছেন’ চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার। এমনকি দফায় দফায় বৈঠকও করেছেন তিনি। ব্যান্ডেল, দেবানন্দপুর, কোদালিয়া-১ ও ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এবং হুগলি-চুঁচুড়া পুরসভার কাউন্সিলরদের নিয়ে বৈঠক করেন। আর সেখানেই বিধায়ক, প্রধান, উপপ্রধান সহ জন প্রতিনিধিদের অপমান করেছেন বলে অভিযোগ। আর এর পরেই গতকাল সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েতগুলির প্রধান ও উপ প্রধানরা চুঁচুড়া-মগড়া বিডিও অফিসে গিয়ে পদত্যাগ করেন।
অসিত মজুমদার জানান, শুক্রবার চারটি পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপ প্রধান পদত্যাগ করেছেন। এই ঘটনায় তিনি তাঁদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছেন, তাঁদের ধন্যবাদ জানাই কারণ তাঁদের বিবেক আছে। তাঁরা থাকাকালীন দলের ফল খারাপ হয়েছে। মানুষ বিজেপিকে ভোট দিয়েছে।