ব্যুরো নিউজ, ৫ জুন : লোকসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশের দিন বিভিন্ন কেন্দ্রের দিকে রাজ্যবাসীর নজর থাকলেও বালুরঘাট কেন্দ্র নিয়ে কিন্তু টানাপোড়েন চলেছে রাত পর্যন্ত। বালুরঘাট কেন্দ্রটি বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের গড় হিসেবেই পরিচিত। তবে এবার তাঁর বিরুদ্ধে তৃণমূল প্রার্থী করেছিল পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদ বিপ্লব মিত্রকে। সুতরাং লড়াই যে হাড্ডাহাড্ডি হবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আর সেরকমই হয়েছে। কারণ ভোটগণনা শুরুর পর থেকেই কখনও সুকান্তু মজুমদার এগিয়েছিলেন, আবার কখনও তাঁকে পিছনে ফেলে এগিয়ে যান তৃণমূল প্রার্থী বিপ্লব মিত্র। যদিও শেষ হাসি হেঁসেছেন বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার।
প্রধানমন্ত্রীর কুরসিতে থাকলেও পাশে চান শরিক দলগুলিকে
পুনর্গণনার পরেও পরাজিত তৃণমূল প্রার্থী বিপ্লব মিত্র
অন্যদিকে ওই কেন্দ্রে ভোটের ফল প্রকাশের পর দেখা যায় তৃণমূল প্রার্থী বিপ্লব মিত্রের প্রাপ্ত ভোটের মার্জিন বিজেপি প্রার্থীর থেকে অনেকটাই কম। আর এর পরেই ওই কেন্দ্রে ইভিএম কারচুপির অভিযোগ তোলে তৃণমূল। শুধু তাই নয় পুনর্গণনার দাবিও জানায় শাসক দল। গঙ্গারামপুর বিধানসভার ২৫টি বুথেই পুনর্গণনার দাবি জানায় তৃণমূল। রাতে ১০টি বুথে শুরু হয় রিকাউন্টিং। যদিও রিকাইন্টিংয়ের পরেও দেখা যায় সুকান্ত মজুমদার তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী বিপ্লব মিত্রকে ১০ হাজার ৩৮৬ ভোটে হারিয়ে জয়লাভ করেছেন।
জয়ের পর বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘বিপ্লবদাকে হারানো কঠিন কাজ ছিল। অনেকেই বলেছিলেন আমায় রাজ্যের মধ্যে যত শক্তিশালী প্রার্থী রয়েছেন তার মধ্যে অন্যতম হলেন বিপ্লব মিত্র। স্বাভাবিকভাবেই আমার সামনে এটা বড় চ্যালেঞ্জ। আমার পুরো টিম লড়াই করেছে। শুধু তাই নয়, কাউন্টিং সেন্টারের ভিতরেও তাদের বিভিন্ন প্ররোচনা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারা কেউ যুদ্ধের ময়দান ছাড়েনি।’ তাঁর এই জয় দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার প্রতিটি কর্মীকে উৎসর্গ করছেন বলেও জানান সুকান্ত মজুমদার। সব মিলিয়ে বিরোধীদের ইভিএম কারচুপির অভিযোগ যে ধোপে টিকল না তা বলাই যায়।