ব্যুরো নিউজ, ১০ মে: পারিবারিক সম্পত্তি সংক্রান্ত মামলার তদন্তে বাধাদান, প্রভাব খাটানোর অভিযোগ ওঠে বিচারপতি অমৃতা সিনহার স্বামী প্রতাপচন্দ্র দে-র বিরুদ্ধে। আর সেই অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করা হয়। আর সেই জল গড়ায় দেশের শীর্ষ আদালত পর্যন্ত।
কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে বাবরি মসজিদ তৈরি করবে, বিস্ফোরক দাবি হেমন্তের
কংগ্রেস কি চায় বন্দে ভারত বন্ধ হোক? ক্ষোভ উগড়ে দিলেন রেলমন্ত্রী
একটি পারিবারিক সম্পত্তি সংক্রান্ত মামলায় বিচারপতি অমৃতা সিনহার স্বামী ক্ষমতার অপব্যবহার করছে।এই মর্মে এফআইআর দায়ের করে পুলিশ। তবে পড়ে এই মামলার তদন্ত ভার বর্তায় সিআইডি-র ওপর। তবে এই মামালার তদন্তে নেমে CID তাকে হেনস্তা করছে বলে অভিযোগ জানায় তিনি। এনিয়ে ব্যাঙ্কশাল কোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশনকে চিঠিও লিখেলেন তিনি। গোটা বিষয়টি জানিয়ে তার বক্তব্য, CID হেনস্থার জন্য বারবার ডেকে পাঠাচ্ছে তাঁকে। এমনকি রাজনৈতিক হেনস্থার অভিযোগ আনেন বিচারপতির স্বামী।
আইনজীবী প্রতাপচন্দ্র দে অভিযোগ করেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই তাঁকে বারবার তলব করা হচ্ছে। পাশাপাশি পরিবারের সম্মান নষ্টেরও চেষ্টা হচ্ছে বলে সে সময় লিখিতভাবে জানিয়েছেন তিনি। তাঁর দাবি, যে মামলায় তিনি কোনওভাবেই যুক্ত ছিলেন না, সেই মামলায় সিআইডি তাকে হেনস্থা করার জন্য বারবার ডেকে পাঠাচ্ছে।
প্রতাপচন্দ্রের অভিযোগ, সিআইডি তাঁকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের নামে কার্যত হেনস্থা করেছে। দীর্ঘক্ষণ না খেতে দেওয়ার পাশাপাশি ওষুধ খেতে চাইলে তা গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছেনা। এমনকি তার ওপর মানসিক অত্যাচার করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন আইনজীবী প্রতাপচন্দ্র দে। এমনকি কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী প্রতাপচন্দ্র দে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপালকে চিঠি দিয়েও এই অভিযোগ জানিয়েছিলেন।
এই মামলা আজ খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের ডিভিশন বেঞ্চ। একইসঙ্গে শীর্ষ আদালত রাজ্যকে বার্তা দিয়েছে যে, রাজনৈতিক উদ্দেশে এভাবে মামলা দায়ের করা উচিত নয়। কড়া ভাষায় বলা হয়, “এফআইআর দায়ের নিয়ে রাজনীতি করবেন না।”