ব্যুরো নিউজ, ১২ এপ্রিল: নির্বাচনের আগে দাড়িভিট মামলায় কড়া পদক্ষেপ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার। সময়টা ২০১৮-র ২০ সেপ্টেম্বর। শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে উত্তর দিনাজপুরের দাঁড়িভিট হাইস্কুল চত্বরে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পুলিশ ও ছাত্রদের মধ্যে খণ্ডযুদ্ধে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার নিয়েছিল। এই ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছিলেন দুই প্রাক্তন ছাত্র। নিহত ওই দুইকে ছাত্রকে গ্রামেই কবর দেওয়া হয়।
ফের উত্তপ্ত সন্দেশখালি! বিক্ষভে নামলে ওসির ‘হুমকি’র মুখে শ্রমিকরা!
কী নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা?
এই ঘটনার পর থেকে নিহতদের পরিবারের তরফ সিবিআই তদন্তের আর্জি জানানো হয়। কিন্তু রাজ্য সরকার এই ঘটনার তদন্তভার সিআইডির হাতে দিয়েছিল। কিন্তু পরিবার সিআইডির তদন্তে সন্তুষ্ট ছিল না। এরপর ২০২৩ -র মে মাসে দাড়িভিট কাণ্ডের তদন্তভার এনআইএর হাতে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। এতদিন কেটে গেল এখনো কেন দাড়িভিট মামলার তথ্য এনআইএর হাতে দেওয়া হচ্ছে না তা জানতেই শুক্রবার মুখ্যসচিব বিপি গোপালিকা, স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনী চক্রবর্তী ও এডিজি সিআইডি আর রাজশেখরন-কে অনলাইনে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। কিন্তু রাজ্যের শীর্ষ আধিকারিকরা হাজিরা না দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিচারপতি। তিনি বলেন, ‘আদালতের নির্দেশের পরেও কেন হাজিরা দিলেন না মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব ও এডিজি সিআইডি ? অন্য ক্ষেত্রে হলে আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করত’।
এরপরে বিচারপতি সোমবার সশরীরে হাজিরার নির্দেশ দেন তাঁদের। এমনকী রাজ্যের শীর্ষ আধিকারিকরা হাজিরা না দিলে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হবে বলেও মন্তব্য করেন বিচারপতি। যদিও এর কিছুক্ষণ পর রায়ের আংশিক পরিবর্তন করে শীর্ষ আধিকারিকদের সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় সশরীরে হাজিরা দেওয়ার পরিবর্তে ভার্চুয়াল মাধ্যমে হাজিরার নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা।