ব্যুরো নিউজ, ৬ এপ্রিল: পোশাক- আশাক তো বটেই তার সঙ্গে রয়েছে খাদ্যদ্রব্য। মোটরসাইকেল, স্কুটার, বাস, ট্রাক। এছাড়াও ওষুধ-পত্র ও উন্নতমানের চিকিৎসার জন্য ভারতের ওপর নির্ভরশীল বাংলাদেশ। এরপরেও বাংলাদেশে বাংলাদেশে ভারতীয় পণ্য বয়কটের ডাক। ইতিমধ্যেই ভারতীয় পণ্য বয়কটের ডাক দেওয়া নিয়ে সরগরম বাংলাদেশ।
পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের
সেদেশে ভারতীয় পণ্য বয়কটের ডাক দিয়েছে বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি (বিএনপি)। আর তাদের সমর্থন জানিয়েছে সেদেশের বিরোধী দল ও বিএনপি-সহ তাদের সহযোগী দল। যদিও বিরোধীদের ভারতীয় পণ্য বয়কটের ডাকের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে আওয়ামি লিগ। আওয়ামি লিগ প্রধান তথা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরোধীদের ওপর ক্ষোভে ফেটে পড়েন কটাক্ষ করে তিনি বলেন, বিরোধী নেতার স্ত্রীদের কাছে কতগুলি ভারতীয় শাড়ি আছে? কেন তাঁরা স্ত্রীদের কাছ থেকে শাড়িগুলি ছিনিয়ে নিয়ে আগুন ধরিয়ে দিচ্ছেন না?
বিজেপির প্রতিষ্ঠা দিবসে বার্তা প্রধানমন্ত্রীর
এই নিয়ে চতুর্থ বার বাংলাদেশের ক্ষমতায় আসে শেখ হাসিনার আওয়ামি লিগ দলটি। আর তার এই জয়ের পেছনে ভারতের হাত রয়েছে এমনই অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে বাংলাদেশের বিরোধী রাজনৈতিক দল বিএনপি। তাদের দাবি, ভারত তার নিজের স্বার্থেই হাসিনাকে বাংলাদেশের ক্ষমতায় রেখে দিতে চায়। আর এই অভিযোগ তুলেই ভারতীয় পণ্য বয়কটের ডাক দেয় বিরোধী দল বিএনপি।
তবে একদিন যদি বাংলাদেশে ভারতীয় পণ্য না যায় তবে বাংলাদেশের অবস্থা চরমে পৌঁছাবে এমনটাই মনে করেছেন বহু ব্যবসায়ীরা। ভারত বাংলাদেশে সিমান্ত লাগোয়া অংশ হল বনগাঁ। সেখানে বনগাঁ টাউন কালীবাড়ি মার্কেটে আনাগোনা বহু ব্যবসায়ীর। বহু বাংলাদেশি ব্যবসায়ী আসেন এদেশে। এদেশ থেকে অনেক কম দামে জিনিস নিয়ে গিয়ে ওদেশে বিক্রি করেন। আর তা থেকেই উঠে আসে সংসার চালানোর খরচা। এই ভাবেই দিন গুজরান বহু মানুষের। কিন্তু বাংলাদেশে ভারতীয় পণ্য বয়কটের ডাকে কার্যত তাদের এক প্রকার মাথায় হাত। যদি ভারতের পণ্য বাংলাদেশে বিক্রি না করতে পারে তবে তারা খাবে কি? আর বাংলাদেশেরও আকাল লাগবে বলেই মত তাদের। কারন ও দেশে এই সব জিনিসপত্রের অনেক দাম। তাই কম দামে কসমেটিক সামগ্রী, সাবান, ডিটারজেন্ট, বিভিন্ন মশলা, পোশাক এমন বহু জিনিসই ওদেশে নিয়ে যান তারা। পাসপোর্ট, ভিসা নিয়েই একদিনের জন্য অনেকে এদেশে আসেন আবার জিনিস পত্র কিনে পর দিনই চলে যান নিজেরদেশে।