ব্যুরো নিউজ, ২৩ মার্চ: ভোটের মুখে ফের তৎপর কমিশন। গত ২১ মার্চই সরানো হয় পূর্ব মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বীরভূম ও পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসককে। এরপর আজ এই চার জায়গায় নয়া জেলাশাসক আনল নির্বাচন কমিশন।
বাড়ছে চাপ! বাবার ফ্ল্যাটের পর কৃষ্ণনগরে মহুয়া মৈত্রের বাড়িতে সিবিআই
লোকসভা ভোটে কোনরকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে কড়া নির্বাচন কমিশন
একের পর এক প্রশাসনে রদবদল ঘটাচ্ছে কমিশন। প্রথমে রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারের অপসারণ। এবার বাংলার ৪টি জেলার জেলা শাসকদের সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিল কমিশন। এই ৪টি জেলা হল – পূর্ব মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বীরভূম ও পূর্ব বর্ধমান। যে ৪ জন জেলা শাসককে বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল তারা হলেন – পূর্ব মেদিনীপুর জেলার জেলা শাসক তানভির আফজল, ঝাড়গ্রামের জেলা শাসক সুনীল অগ্রওয়াল, বীরভূমের জেলা শাসক পূর্ণেন্দু কুমার মাজি এবং পূর্ব বর্ধমানের জেলা শাসক বিধানচন্দ্র রায়। কমিশনের তরফে জানানো হয়, ওই ৪ জেলার জেলাশাসকেরা কেউই আইএএস অফিসার নন। তারা ৪ জনই ডব্লুবিসিএস থেকে পদোন্নতি পেয়ে আইএএস হয়েছেন। তাই তাদের জেলাশাসক পদ থেকে সরানো হল।
প্রশান্ত কিশোরকে নিয়ে বাড়াবাড়ি করা হয়, অভিষেকের মন্তব্য ঘিরে জল্পনা
অফিসার, আমলা, পুলিশের বদলির করছে নির্বাচন কমিশন। রাজ্যের চার জেলাশাসককে দায়িত্ব থেকে সরানোর পর এবার ওই চার জেলার নতুন জেলাশাসকের অনুমোদন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কমিশনের তরফে পূর্ব মেদিনীপুরের নতুন জেলাশাসকের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে ২০১০ সালের ব্যাচের আইএএস জয়শী দাসগুপ্ত। বীরভূমের জেলাশাসক পদে অনুমদনে রয়েছেন ২০১০ সালের ব্যাচের আইএএস শশাঙ্ক শেঠি। পূর্ব বর্ধমানের নতুন জেলাশাসকের জায়গায় নাম রয়েছে ২০১১ সালের ব্যাচের রাধিকা আইয়ারের নাম। পাশাপাশি ঝাড়গ্রামের নতুন জেলাশাসক ২০০৭ সালের ব্যাচে মৌমিতা গোদারা বসু। আজ থেকেই নতুন দায়িত্বে কাজে নেমে পড়েছেন নয়া দায়িত্বপ্রাপ্ত জেলাশাসকেরা।