শর্মিলা চন্দ্র, ১৯ মার্চ : ছুটিতে ভাবছেন কোথায় যাবেন? এখনো কোন প্ল্যানিং হয়নি? তাহলে আজ রইল কম বাজেটের মধ্যে ঘুরতে যাওয়া যায় এমন কয়েকটি জায়গার হদিশ যেখানে গিয়ে আপনি রংও খেলতে পারবেন আর চুটিয়ে আনন্দও করতে পারবেন।
বেছে নিন আপনার পছন্দের জায়গা
বাজাজের আসছে নতুন মডেল Pulsar N150 এবং Pulsar N160, থাকছে বিশেষ চমক!
আপনি কি Oppo Reno 11 5G ফোন কেনার প্ল্যান করছেন?তাহলে আর দেরি না করে আজই দেখে নিন রিভিউ!
শান্তিনিকেতন
যদি হোলি খেলতে চান তাহলে পারফেক্ট ডেসটিনেশন হতে পারে শান্তিনিকেতন। রঙ খেলার পাশাপাশি বিশ্বভারতীর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও দেখতে পাবেন।
কীভাবে যাবেন- কলকাতার হাওড়া বা শিয়ালদাহ রেল থেকে খুব সহজেই মাত্র ৩/৪ ঘন্টায় পৌঁছে যাওয়া যায় বোলপুর শান্তিনিকেতন। বোলাপুর রেল স্টেশন থেকে রিকশা বা ব্যাটারি চালিত অটোয় চড়ে সহজেই শান্তিনিকেতন যেতে পারবেন। বোলপুর থেকে রিকশায় শান্তি নিকেতন যেতে ১০ থেকে ১৫ মিনিট সময় লাগে।
কী কী দেখবেন- গীতাঞ্জলি রেল মিউজিয়াম, কঙ্কালিতলা, বিশ্ব বাংলা হাট, প্রকৃতি ভবন, আমার কুটির, কোপাই নদী, সৃজনী শিল্পগ্রাম, বল্লভপুর ডিয়ার পার্ক, বিশ্বভারতী, কলা ভবন, বিশ্বভারতী মিউজিয়াম, খোয়াই বনের হাট।
পুরুলিয়া
বসন্তে ঘুরতে যাওয়া মানেই পুরুলিয়া। দোলে রং খেলার পাশাপাশি পলাশ রঙা পুরুলিয়ায় এই সময় বিভিন্ন ধরনের ফোক ডান্স দেখারও সুযোগ পাবেন।
কীভাবে যাবেন- পুরুলিয়া পৌঁছানোর জন্য, আপনি কলকাতা থেকে ট্রেন বা বাসে যেতে পারেন। এছাড়াও আপনি কলকাতা বা আশেপাশের শহর থেকে গাড়ি ভাড়া করে যেতে পারেন।
কী কী দেখবেন-অযোধ্যা পাহাড়, জয়চন্ডী পাহাড়, গড় পঞ্চকোট, চারিদা গ্রাম, বিহারীনাথ পাহাড়।
মথুরা-বৃন্দাবন
হোলি খেলতে চাইলে আপনি ঘুরতে যেতে পারেন মথুরা-বৃন্দাবনে। উত্তরপ্রদেশের নন্দগাঁও, বারসানায় হোলিরও আগে থেকে শুরু হয়েছে এই হোলি উৎসব।
কীভাবে যাবেন- বিমানে করব দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছতে হবে। বিমানবন্দর থেকে, আপনি একটি ট্যাক্সি ভাড়া করতে পারেন বা মথুরা বৃন্দাবনে বাসে যেতে পারেন। মথুরা বৃন্দাবনের মধ্যে, অটো-রিকশা এবং সাইকেল-রিকশা হল পরিবহণের সবচেয়ে সাধারণ মাধ্যম। এগুলি সহজেই পাওয়া যায় এবং সরু গলি এবং জনাকীর্ণ রাস্তায় নেভিগেট করার একটি সুবিধাজনক উপায় নির্দেশ করে৷ বৃন্দাবন প্যাকেজ থেকে ট্যাক্সি এবং প্রাইভেট কারও ভাড়া করা যেতে পারে।
কী কী দেখবেন- কৃষ্ণ জন্মভূমি মন্দির, বাঁকে বিহারী মন্দির, প্রেম মান্দি, ইসকন মন্দির, গোবর্ধন পাহাড়, বরসানা।
নবদ্বীপ-মায়াপুর
নদিয়ার নবদ্বীপ-মায়াপুরের হোলি উৎসব খুবই জনপ্রিয়। ছুটির ক’টা দিন সেখানেই কাটিয়ে আসতে পারেন।
কীভাবে যাবেন- হাওড়া বা শিয়ালদহ থেকে কাটোয়া লোকাল ধরে চলে আসুন বিষ্ণুপ্রিয়া হল্টে। সেখান থেকে টোটো পেয়ে যাবেন গঙ্গার ঘাটে যাবার জন্য। মায়াপুর ঘাট থেকে আবার টোটো করে পৌঁছে যাবেন মন্দিরে। এছাড়া, আপনি কৃষ্ণনগর লোকাল ধরে চলে আসতে পারেন। কৃষ্ণনগর স্টেশন থেকে অটো, টোটো বা বাস ধরে চলে আসুন নবদ্বীপঘাট। জলঙ্গি নদীর খেয়া পার হয়ে আবার টোটো ধরে পৌঁছে যান মায়াপুর ইস্কন মন্দিরে।
কী কী দেখবেন- নবদ্বীপ – মহাপ্রভুর বিগ্রহ মন্দির, বুড়ো শিব, হরিসভা, পোড়ামাতলা মহাপ্রভু মন্দির, অদ্বৈতপ্রভু মন্দির, জগাই-মাধাই, শচীমাতা-বিষ্ণুপ্রিয়ার জন্মভিটায় নিত্যানন্দপ্রভুর মন্দির, বড় আখাড়া, শ্রীশ্রী গোবিন্দজিউ, সোনার গৌরাঙ্গ, সমাজবাড়ি, বড় রাধেশ্যাম, রাধাবাজারে শ্রীসারস্বত গৌড়ীয় আসন, দেবানন্দ গৌড়ীয় মঠ, মণিপুর পাড়ায় সোনার গৌরাঙ্গ
মায়াপুর- ইস্কন মন্দির, শ্রীপ্রভুপাদের বর্ণাঢ্য স্মৃতিমন্দির, শ্রীচৈতন্য গৌড়ীয় মঠ, অদ্বৈত ভবন, ২৯ চুড়োর শ্রীচৈতন্য মঠ এবং শ্রীবাস অঙ্গন তথা খোল ভাঙার ডাঙা, ভক্তি সারঙ্গ গোস্বামী মহারাজ মঠ, জন্মভিটে তথা শ্রীমন্দির, ২৯ চুড়োর মঠের উল্টো দিকে পুণ্যিপুকুর শ্যামকুণ্ড, একই চত্বরে রাধাকুণ্ড।
মহিষাদল রাজবাড়ি
দোলের ছুটিতে ঘুরে আসতে পারেন মহিষাদল রাজবাড়ি থেকে। এখানকার দোল উৎসব খুবই বিখ্যাত।
কীভাবে যাবেন- কলকাতা থেকে মহিষাদল রাজবাড়ি যাওয়ার পথ খুবই সোজা। কলকাতা থেকে দূরত্ব ১১০ কিলোমিটার। গাড়িতে ঘণ্টা দুেয়ক সময় লাগে। কলকাতা থেকে আসতে হবে বম্বে রোড ধরে। নন্দকুমার মোড় পার করে ৮ কিলোমিটার যেতে হবে। তারপরেই পড়বে কাপাসিরিয়া মোড়। সেখান থেকে ৫ কিলোমিটার গেলেই পৌঁছে যাওয়া যাবে মহিষাদল রাজবাড়ি। কেউ বাসে আসতে চাইলে কাপাসিরিয়া মোড় থেকে টোটো করেও পৌঁছে যাওয়া যায় এখানে। তবে রাজবাড়িতে থাকতে গেলে আগে থেকে বুকিং করে আসতে হয়।
কী কী দেখবেন-মহিষাদলের বর্তমান রাজ প্রাসাদ যেটি ফুলবাগ প্যালেস নামে পরিচিত সেটির মধ্যে রয়েছে একটি মিউজিয়াম। এই মিউজিয়ামে রয়েছে মহিষাদল রাজাদের দরবার কক্ষ, তাঁদের শিকার করা প্রাণী, তাঁদের ব্যবহৃত অস্ত্রশস্ত্র, তাঁদের ব্যবহৃত আসবাবপত্র, বিছানা, বইপত্র এবং তাঁদের কিছু মূল্যবান ছবি। এই মিউজিয়ামের প্রবেশমূল্য মাত্র পনেরো টাকা।
এছাড়া মহিষাদল বেড়িয়ে নেওয়ার পরে সময় পেলে মহিষাদল থেকে আট কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ত্রিবেণী সঙ্গমও দেখা যেতে পারে। গেঁওখালি ত্রিবেনী সঙ্গম হলো হুগলি, হলদি এবং রূপনারায়ণ নদীর সঙ্গমস্থল। ওখানে নদীর ধারে পি এইচ ই এর একটি সুন্দর মাঠ রয়েছে যেখানে জলের শোধনাগার প্রকল্প রয়েছে।