ব্যুরো নিউজ,১২ মার্চ: নতুন অতিথির আগমন খুশির হাওয়া কুনোতে
চিতা গামিনী জন্ম দিল ৫ শাবকের! খুশির হাওয়া বইছে কুনোতে। প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির হাত ধরে বিশ্বের প্রথম আন্তঃমহাদেশীয় চিতা স্থানান্তরকরন হয়েছিল মধ্যপ্রদেশের সোনপুর জেলার এর কুনো ন্যাশনাল পার্কে ২০২২ সালে ১৭ই সেপ্টেম্বর। সেই দিন প্রধানমন্ত্রী তাঁর জন্মদিনে ভারতের জনগণকে আটটি নামিবিয়ান চিতা উপহার দিয়েছিলেন।বর্তমানে শাবক-সহ কুনোয় মোট চিতাবাঘের সংখ্যা দাঁড়াল ২৬।
মধ্যপ্রদেশের কুনো জাতীয় উদ্যানে ফের খুশির হাওয়া। পাঁচটি শাবকের জন্ম দিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা আনা চিতা গামিনী। রবিবার এই সুখবর দিয়েছেন পরিবেশমন্ত্রী ভূপেন্দর যাদব। ভারতে জন্ম নেওয়া চিতা শাবকের সংখ্যা বেড়ে হল ১৩। আর শাবক-সহ কুনোয় মোট চিতাবাঘের সংখ্যা দাঁড়াল ২৬।
পরিবেশমন্ত্রী ভূপেন্দর যাদব এদিন এক্স হ্যান্ডলে জানান, ‘মহিলা চিতা গামিনী, বয়স প্রায় ৫ বছর। দক্ষিণ আফ্রিকার সওয়ালু কালাহারি রিজার্ভ থেকে আনা গামিনী আজ ৫টি শাবকের জন্ম দিয়েছে। সকলকে অভিনন্দন, বিশেষ করে বন কর্মকর্তা, পশুচিকিৎসক এবং মাঠ কর্মীদের দল, যাঁরা চিতাদের জন্য একটি অনুকুল পরিবেশ নিশ্চিত করেছেন তাঁদের শুভেচ্ছা। সকলের প্রচেষ্টায় সফলভাবে মিলন এবং শাবকের জন্ম হয়েছে।’
উল্লেখ্য, এর আগে নামিবিয়ান চিতা জ্বালা ৩টি শাবকের জন্ম দিয়েছিল চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি। এরপর ৩ জানুয়ারি তার কয়েক সপ্তাহ আগেই আশা নামে আরেকটি নামিবিয়ান চিতাও জন্ম দিয়েছিল ৩টি সন্তানের। তবে সাতটি শাবকের জন্ম জানুয়ারিতে হলেও ওই মাসেই কুনোতে শৌর্য নামে একটি প্রাপ্তবয়স্ক নামিবিয়ান চিতার মৃত্যু হয়েছিল।
ড্রাইভার ঘুমোতেই গাড়ি ও মাছ দু’ই নদীতে
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভারতের জঙ্গলে পুনরায় চিতা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য উদ্যোগ নিয়েছিলেন। ২০২২ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর সেই প্রকল্প অনুযায়ী নামিবিয়া থেকে আটটি চিতা ভারতে আনা হয়েছিল। দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আরও ১২টি চিতা আসে ভারতে ২০২৩ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি। মধ্যপ্রদেশের কুনো জাতীয় উদ্যানে তাদের রাখা হয়েছিল।