ব্যুরো নিউজ, ৫ মার্চ: আসন্ন লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে আগামী ১০ মার্চ কোলকাতার বুকে তৃণমূল কংগ্রেসের ‘জনগর্জন সভা’। যাকে অভূতপূর্ব ও ঐতিহাসিক করে তুলতে তৃণমূল ইতিমধ্যেই জেলায় জেলায় প্রস্তুতি সভা কর্মসূচির ডাক দিয়েছে। সেই দিকে লক্ষ্য রেখে সোমবার পশ্চিমবর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এক প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয় আসানসোলের রবীন্দ্রভবনে।
‘মাতৃ শক্তির সুরক্ষা’ এই ইস্যুকে তুলে ধরেই ভোট ময়দানে বিজেপি প্রার্থী অনির্বাণ
এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক, মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার, আসানসোলের সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা, জেলাসভাপতি ও পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, রাজ্য কমিটির নেতা ভি শিবদাসন, জামুড়িয়ার বিধায়ক হরেরাম সিং তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র জয়প্রকাশ মজুমদার, পূর্ব বর্ধমানের সাংসদ সুনীল মন্ডল-সহ আসানসোল পুরনিগমের মেয়র বিধান উপাধ্যায়-সহ অন্যান্য বিধায়ক, জেলা নেতৃত্ব ও কর্মী সমর্থকেরা।
এদিনের সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রী মলয় ঘটক বলেন, বিগত দশ বছরে দেশের প্রধানমন্ত্রী দেশের জন্যে কিছু গড়ে তোলেননি। বদলে দেশের সব জিনিষই প্রায় বেঁচে দিয়েছেন। মানুষ এখন বিজেপির চালাকি বুঝতে পেরেছে। তাই আসানসোলের জন্যে বিজেপি প্রার্থীর নাম ঘোষণার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই প্রার্থী নিজে পরাজয়ের ভয়ে প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করেছে।
একই সাথে তিনি বলেন, ১০ মার্চ ব্রিগেডে ‘জনগর্জন সভা’তে দলীয় কর্মীদের নিয়ে যাওয়ার জন্যে প্রতিটি ওয়ার্ডের মহিলা কর্মীদের জন্যে বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কারন বিজেপি রেল পরিষেবাকেও রাজনৈতিক ভাবে ব্যবহার করছে বলে তোপ দাগেন মন্ত্রী মলয় ঘটক। ঘটনায় দিল্লীতে ধরনা কর্মসূচিতে যাওয়ার ক্ষেত্রে এই ঘটনা দেখা গিয়েছে বলে সেই শ্রিতি উসকে দেন মলয় ঘটক।
অন্যদিকে মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্যের প্রতি কেন্দ্রের বিমাতৃসুলভ বঞ্চনার কথা তুলে ধরেন। তবে এদিনের সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে জয়প্রকাশ মজুমদার তাপস রায়ের প্রসঙ্গে বলেন, তাপস রায় পদত্যাগ করেছেন সেটা তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। তবে রাজনৈতিক জীবনের অপরাহ্নে এসে তিনি ব্যক্তিগত মান অভিমানকেই গুরুত্ব দিয়েছেন। একই সাথে মমতা ব্যানার্জীর মত নেত্রীর লড়াইকে মাঝপথে ছেড়ে দিয়ে তিনি কাপুরুষতার পরিচয় দিয়েছেন।
অন্যদিকে বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলির অবসর গ্রহণ ও রাজনৈতিক দলে যোগদান প্রসঙ্গে জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, এতে বিচার বিভাগ কালিমা মুক্ত হবে। কারণ তিনি বিচার পদ্ধতিতে রাজনৈতিক পরিচয়টিকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছিলেন। সামনে লোকসভা নির্বাচন তাই তিনি রাজনৈতিক দলে যোগদানের উদ্দেশ্যে বিচার ব্যবস্থা থেকে অবসর গ্রহণ করেছেন।