ব্যুরো নিউজ, ২২ ফেব্রুয়ারি: এই টিকটিকি যে সে টিকটিকি নয়। বঙ্গবাসীর দেওয়ালে যে সর্বোচ্চ ইঞ্চি ছয়েকের নিরীহ টিকটিকি দেখা যায় তাও নয়। এ হল হাত দেড়েক লম্বা বিষধর গিলা মনস্টার গোত্রের টিকটিকি। এদের দেখা মেলে দক্ষিণ- পশ্চিম আমেরিকায়। ভয়ঙ্কর বিষাক্ত এই টিকটিকির ধারেপাশেও সাহস করে কেউ যান না। বিষ ছুড়ে দেওয়া এদের কাছে সহজ সাধ্য। তাই এমন টিকটিকি সেদেশে দেখা দিলে ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা। কিন্তু এমন টিকটিকিই পুষেছিলেন আমেরিকার এক ব্যক্তি। বেশ পোষাই ছিল, চলাফেরা করছিল বাড়ির মধ্যে, খাওয়া-দাওয়াও করছিল আরামে। দিব্যি দিন কাটছিল মনিব আর পোষ্যের। কিন্তু, সাপের মতো হিংস্র এই মনস্টার শেষ পর্যন্ত রেহাই দেয়নি তার মনিবকে।
এবার কাঠগড়ায় অভিযুক্ত ‘সিরাজ ডাক্তার’
হঠাৎই দিন কয়েক আগে ওই টিকটিকি কামড় বসিয়ে দেয় মনিবের গায়ে। বিষে জর্জরিত হয়ে ছটফট করতে করতে ওই মনিব ১২ ফেব্রুয়ারি মারা যান। বিষের তেজ এতোই বেশি ছিল যে কাজ করেনি কোনও ওষুধই। মার্কিন দেশে এই ধরনের টিকটিকি পোষা নিষেধ। তবুও অবৈধ ভাবে ২ টি গিলা মনস্টার প্রজাতির টিকটিকি পুষে ছিল ওই ব্যক্তি। মনিবের মৃত্যুর পর খবর পেয়ে হতচকিত মার্কিন পুলিশ। অবশেষে ওই অবৈধ টিকটিকি দুটিকে বন দফতরের অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের নিয়ে উদ্ধার করা হয়। এধরনের টিকটিকি শুধু বিষাক্তই হয় না মাংসাশীও হয়। ১৯৩০ সালের পরে টিকটিকির কামড়ে এমন মৃত্যু আর হয়নি। কিন্তু, সব জেনেও কেন এ ধরনের টিকটিকি পুষতে গেলেন ওই মার্কিনী তা জানতে পারেনি প্রশাসন। ইভিএম নিউজ