ব্যুরো নিউজ, ১৯ ফেব্রুয়ারি: এক সময় এভারেস্টের চূড়ায় ছিল বাংলা ছবি। আর তা আজ ‘খাটিয়া’। বাংলায় এসে বাংলার ছবি নিয়েই এমন মন্তব্য কোরতে শোনা যায় বলিউডের ছবি পরিচালক অনুরাগ কাশ্যপকে। তার বক্তব্য ছিল, বাংলা ছবি চলবে কীভাবে? বাংলা ছবি একেবারে ‘খাটিয়া’।
এভারেস্টের উচ্চতা থেকে পতন
গাজা অভিযানে নিহত ২৩৫ ইজরায়েলি সেনা
রবিবার শহরের ইউনিভার্সিটি ইন্সটিটিউটে ‘নিপীড়িতের জগঝম্প’ নামে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসেন ছবি পরিচালক অনুরাগ কাশ্যপ। সেখানেই তিনি স্পষ্ট জানান, বাংলা চলচ্ছিত্র একটা সময় এভারেস্টের উচ্চতায় ছিল। কিন্তু এখন তা একেবারেই তলানিতে। তবে একটা সময় ছিল যখন ধুতি-পাঞ্জাবি পরেই অত্যন্ত দাপটের সঙ্গে অভিনয় করেই মানুষের মন জয় করে নিয়ে ছিলেন উত্তম কুমার, পাহাডি সান্যাল, ছবি বিশ্বাস ও সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু আজকের দিনে ইন্ডাস্ট্রিতে আসতে গেলেই পাশ্চাত্য পোশাক-আশাক, ভাব-ভঙ্গী, আদব-কায়দাকেই প্রাধান্য দিয়ে থাকে উঠতি প্রতিভাদের একাংশ।
কিন্তু পশ্ছিমি প্রভাবে বাংলায় বদলেছে পোশাক। বদলায়নি সংস্কৃতি, আচার-ব্যবহার ও পরিবেশ সচেনততা। অনুরাগ ঠিকই বলেছেন, নিম্নমানের বিশয়বস্তু নিয়ে প্রায়শই অ্যাংরি ইমেজকে হাতিয়ার করে নায়ককে দিয়ে দর্শক টানার ছক কষে রাখছে পরিচালকরা। কিন্তু তাতে সত্যিই গুনমান বাড়েনি। কিন্তু এবিষয়ে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি বাংলার নামজাদা পরিচালকরা। এদিকে একইভাবে অনুরাগের স্বীকারোক্তি হিন্দি ছবিরও মান নেমেছে। দুর্বল চিত্রনাট্য নিয়ে স্বল্প পোশাক পরিহিত নায়িকাদের নাচিয়ে লোক টানার কৌশল নিয়েছে বলিউডও।
সত্যিই বাংলায় গল্প হলেও সত্যি, সফেদ হাতি, সোনার কেল্লা, গুপি গাইন বাঘা বাইন, অরন্যের দিন- রাত্রি, নায়ক দেখে যে শান্তি পাওয়া যেত তার ধারের কাছেও নেই বাংলার বর্তমান সিনেমা। একইভাবে হিন্দিতে দিলীপ কুমার সায়রা বানুর পাডোশান, মেরানাম জোকার, সওদাগর, সাগিনামাহাতো, হৃদয় ছুয়ে যাওয়া আনান্দ, তার সমতুল্য ছবি কি পাওয়া গেছে একটাও?