ব্যুরো নিউজ, ১৫ ফেব্রুয়ারি: ৪৩ জন ভারতীয় নাগরিককে মলদ্বীপ থেকে বেড় করে দিল মলদ্বীপের মুইজ্জুর সরকার। তাদের বিরুদ্ধে সেই দেশে অবৈধ ব্যবসা চালানোর অভিযোগ তুলেছেন মলদ্বীপের সরকার।
কাশ্মীরকে হার মানালো বাংলা! লোকসভা ভোটে বাংলায় দেশের সর্বাধিক কেন্দ্রীয় বাহিনী
এক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মোট ১২টি দেশের ১৮৬ জন বিদেশীকে দেশ থেকে বেড় করে দিয়েছে মলদ্বীপ। তাদের বিরুদ্ধেও ওই দেশে অবৈধ ব্যবসা চালানোর অভিযোগ রয়েছে মলদ্বীপ সরকারের। তবে জানা গিয়েছে, দেশ ছাড়া করা এই নাগরিকদের মধ্যে চিনের কোনও নাগরিক নেই। শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ভারত, বাংলাদেশের নাগরিক রয়েছে সেই তালিকায়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি রয়েছে বাংলাদেশের নাগরিক। ৮৩ জন বাংলাদেশিকে নির্বাসিত করেছে মালদ্বীপ। ২৫ জন শ্রীলঙ্কান এবং ৮ জন নেপালিকে দেশ ছাড়া করেছে মুইজ্জুর সরকার।
মালদ্বীপের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক দাবি করেছে, ওই দেশের বিভিন্ন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে এই বিদেশি নাগরিকরা তাদের টাকা জমা রেখেছেন। আর সেই অর্থ দিয়ে মলদ্বীপে তারা অবৈধভাবে ব্যবসা করছে। এছাড়াও ওই দেশের দাবি, বিভিন্ন নামে এই অবৈধ ব্যবসাগুলি চালানো হচ্ছে। তাই অর্থ মন্ত্রক ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পক্ষ থেকে এই অবৈধ ব্যবসার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হচ্ছে। আর তাতেই ৪৩ জন ভারতীয়-সহ ১৮৬ জন বিদেশি নাগরিককে মলদ্বীপ থেকে বিতাড়িত করা হয়েছে।
মলদ্বীপ সরকার জানিয়েছে, মলদ্বীপের কোনও নাগরিকের নামে ব্যবসা নিবন্ধন করিয়ে তার মুনাফা লুটছে এই বিদেশি নাগরিকরা। এছাড়াও নিবন্ধিত ক্ষেত্রের বাইরেও তারা ব্যবসা করে চলেছে। সেই অপরাধে ২০২১ সালের আইন অনুসারে, ব্যবসা নিবন্ধক কর্তৃপক্ষ যদি মনে করে, এই ধরনের কোনও ব্যবসা থেকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে বিদেশী নাগরিকরা মুনাফা অর্জন করছে তবে, সেক্ষেত্রে সেই ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়া হবে। সেই মতোই, এই ধরনের ব্যবসাগুলি বন্ধ করে, ব্যবসার সঙ্গে জড়িত বিদেশিদের নির্বাসনে পাঠানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রক। তবে আশ্চর্যের ব্যপার এর মধ্যে একজনও চিনের নাগরিক নেই। প্রথম থেকেই বোঝা গিয়েছিল মুইজ্জু চিনাপন্থি ও ভারতবিরোধী। তাই তার সরকার যে এই প্রাক যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে ভারতীয়দের ওপর এই ভাবে আক্রশ মেটাবেন না। তা মানতে নারাজ কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা। ইভিএম নিউজ