ব্যুরো নিউজ,১২ ফেব্রুয়ারি: ফের সুন্দরবনের জঙ্গলে মাছ- কাঁকড়া ধরতে গিয়ে বাঘের হামলায় প্রান গেলো এক মৎস্যজীবীর। জানা গিয়েছে, নিহত ওই মৎস্যজীবীর নাম শ্রীদাম হালদার। তিনি গোপালগঞ্জ গায়েনের চকের বাসিন্দা। শ্রীদামের স্ত্রী ভগবতী হালদার জানান, বুধবার সকালে সিদাম সহ মোট ৪ জন মৎস্যজীবী সুন্দরবনের জঙ্গলের নদীতে মাছ ধরতে যান। এরপর সোমবার কাকভোরে তাঁরা ফিরে এসে খবর দেন যে শ্রীদামকে বাঘে নিয়ে গেছে।
বাংলা থেকে বিজেপির রাজ্যসভার প্রার্থী শমীক ভট্টাচার্য
শ্রীদামের বাড়িতে তাঁর স্ত্রী ছাড়া ৪ সন্তান রয়েছে। ঘটনায় পরিবার সহ গোটা গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ইতিমধ্যেই অন্যান্য মৎস্যজীবীরা রওনা দিয়েছেন শ্রীদামের দেহের খোঁজে। সুন্দরবনে মাছ ধরতে গিয়ে বাঘের মুখে পড়ার ঘটনা এই প্রথম নয়। এর আগেও এইরকম ঘটনা অনেক ঘটেছে। সম্প্রতি, কুলতলির বাসিন্দা বাসুদেব বৈদ্য সুন্দরবনের মেচুয়ার জঙ্গলে গিয়েছিলেন কাঁকড়া ধরতে। জঙ্গলে নৌকায় বসে থাকাকালীন একটি বাঘ ঝাঁপিয়ে পরে বাসুদেবের উপর।
সুন্দরবনে মাছ ধরতে যাওয়াই হলো ‘কাল’
বাসুদেবের সাথে থাকা ২ মৎস্যজীবী লাঠিসোঁটা নিয়ে বাঘটিকে তাড়া করতেই বাসুদেবের দেহ ছেড়ে জঙ্গলে ফিরে যায় সে। যদিও শেষরক্ষা হয়নি। এরপর কাঁকড়া ধরতে সুন্দরবনের জঙ্গলে গিয়েছিলেন গোসাবার কুমিরমারির বাসিন্দা বছর ৫৩ এর মৎস্যজীবী দীপক মণ্ডল। সেখানে গিয়ে তিনি পড়েন দক্ষিণরায়ের মুখে। এরপরে বাঘটি তাঁকে গভীর জঙ্গলে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তাঁকে শেষমেশ বাঘের মুখ থেকে রক্ষা করা গেলেও বাঁচানো সম্ভব হয়নি। এই ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসন দুঃখপ্রকাশ করেছেন। তবে তাঁরা জানিয়েছেন, গভীর জঙ্গলে মৎস্যজীবীদের যাওয়ার অনুমতি নেই। প্রসঙ্গত, কাঁকড়া ধরতে গিয়ে বাঘের আক্রমণে মৎস্যজীবীদের মৃত্যুর ঘটনা প্রায়ই ঘটে। যদিও প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, যে, মৎস্যজীবীরা যাতে জঙ্গলের গভীরে প্রবেশ না করেন সেই নিয়ে প্রশাসনের তরফে সতর্কতামূলক প্রচার চালানো হয়। তারপরেও তাঁদের পরিবারের পেট চালানোর খাতিরে অর্থ উপার্জনের আশায় প্রাণের ঝুঁকি নিয়েই জঙ্গলে কাঁকড়া বা মাছ ধরতে যেতে হয় মৎস্যজীবীদের। ইভিএম নিউজ