ব্যুরো নিউজ, ৯ ফেব্রুয়ারি: ‘সরস্বতি মহাভাগে বিদ্যে কমললোচনে। বিদ্যারূপে বিশালাক্ষি বিদ্যাং দেহি নমোহস্তু তে’।
আর কয়েকদিন পরেই বাঙালির অন্যতম প্রিয় উৎসব সরস্বতী পুজো। চলতি বছরের ১৪ই ফেব্রুয়ারি পালিত হবে সরস্বতী পুজো। বিদ্যার দেবী মা সরস্বতী। তিনি আমাদের বিদ্যার পাশাপাশি জ্ঞান ও বুদ্ধি দান করে থাকেন। বিশেষত পড়ুয়াদের দেবী হলেন মা সরস্বতী। তাই করজোড়ে ‘সরস্বতি মহাভাগে বিদ্যে কমললোচনে। বিদ্যারূপে বিশালাক্ষি বিদ্যাং দেহি নমোহস্তু তে’ এই মন্ত্র উচ্চারণ করে বাগদেবীর আরাধনা করে থাকেন সমস্ত পড়ুয়া।
সরস্বতী পুজোর আগে কুল খেতে নেই কেন? রইলো বিস্তারিত তথ্য
বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সারম্বরে এই পুজোর আয়োজন করা হয়ে থাকে। এর পাশাপাশি ঘরে ঘরে মা সরস্বতীর পুজো করা হয়ে থাকে। তবে এই পুজোর একটি প্রচলিত রীতি হলো হাতেখড়ির রীতি। প্রতিবছর মা সরস্বতীকে সাক্ষী রেখে কোন না কোন শিশুর হাতেখড়ি দেওয়া হয়। তবে, জানেন কী কেন সরস্বতী পুজোয় শিশুদের হাতেখড়ি দেওয়া হয়?
সরস্বতী পুজোতে কেন শিশুর হাতেখড়ি দেওয়া হয়?
কথায় আছে বিদ্যার দেবী মা সরস্বতী। তাই মা সরস্বতীর আশীর্বাদ সহ হাতেখড়ি নিয়ে একটি শিশু শিক্ষা জীবনে তাঁর প্রথম পদক্ষেপ রাখে বলে মনে করা হয়। হাতেখড়ির এই প্রথা অনুযায়ী শ্লেটে চক সহকারে অ, আ, ক, খ বা এ, বি, সি, ডি লিখে শুরু হয় শিশুদের শিক্ষার জীবনে পথ চলা। প্রথা অনুযায়ী একটি শিশুকে নিয়ে তাঁর মা অথবা বাবা মা সরস্বতীর সামনে বসে। তবে, মনে করা হয়, মায়ের কাছে সেই শিশু হাতেখড়ি নিলে তা খুবই ভালো। এরপর পুরোহিত শিশুর হাত ধরে শ্লেটের উপর চক বা খড়ি সহযোগে অ, আ বা ক, খ লেখান। শিশুটি ভবিষ্যতে যাতে ভালোভাবে শিক্ষালাভ করতে পারে এই কামনা করে, শিশুটির হাতেখড়ির রীতি সম্পন্ন করা হয়।
তবে হাতেখড়ি দেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম জানতে ও মানতে হয়। আসুন সেগুলো জেনে নেওয়া যাক:
সব সময় পঞ্জিকা অনুযায়ী ও শিশুর কুষ্ঠি বিচার করে শুভ সময় দেখে হাতেখড়ির রীতি পালন করতে হয়। এছাড়াও পুরহিত থাকলেও শিশুর পাশে তাঁর বাবা অথবা মায়ের উপস্থিতি একান্তই কাম্য। পুজো ও পুষ্পাঞ্জলির শেষে শিশুর হাতেখড়ির অনুষ্ঠান পালন করুন। তবেই খুশি হবেন মা সরস্বতী ও আপনার শিশুর শিক্ষা জীবন হয়ে উঠবে উজ্জ্বল। ইভিএম নিউজ