ব্যুরো নিউজ, ৮ ফেব্রুয়ারি: ক্যানড মাছ সম্বন্ধে আমরা সকলেই কম- বেশি অবগত। সারা বিশ্বজুড়ে টুনা, সার্ডিন, স্যামন, পিলচার্ড সহ আরও বহু সামুদ্রিক মাছ কৌটাজাত করে সারাবছর বিক্রি করা হয়। তবে, এবার সেই ক্যানড মাছেই আসতে চলেছে চমক। আর সেই চমক দিতে চলেছেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা।
ক্যানড মাছে চমক
জানা গিয়েছে, তাঁরা তৈরি করেছেন রাসায়নিকমুক্ত কৌটাজাত সর্ষে ইলিশ। এই পদ্ধতিতে ক্যানড ইলিশ কৌটো থেকে বার করে সরাসরি খাওয়া যাবে বলেও তাঁরা জানান। ক্রেতারা এই ক্যানড ইলিশ সহজলভ্য দামেই ক্রয় করতে পারবেন। শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশিং অ্যান্ড পোস্ট হার্ভেস্ট টেকনোলোজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও সহ-গবেষক মোহাম্মদ মাসুদ রানা বলেন, ইলিশ মাছ সংরক্ষণের দীর্ঘদিনের এই চিন্তা ও আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের কথা মাথায় রেখে আমরা কাজ শুরু করি। সারাবছর ধরে সব শ্রেণীর মানুষেরা যাতে এই মাছ খেতে পারে সেইদিকে লক্ষ্য রেখেই আমাদের এই চিন্তাধারাকে আমরা বাস্তবায়িত করতে সক্ষম হয়েছি। আর এই প্রক্রিয়ায় কেবল্মাত্র সর্বোচ্চ ৬০০ থেকে ৭০০ গ্রাম ওজনের ইলিশকেই সংরক্ষণ করা যাবে।
দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ দুই ঘাটের ফেরি চলাচল | ক্ষোভে যাত্রীরা
মৎস্যবিজ্ঞান বিভাগের তথ্য বলছে, বাংলাদেশে ২৬০টি মিষ্টি জলের ও ৪৭৫টি সামুদ্রিক মাছের প্রজাতি আছে। বিশ্বে মোট যত ইলিশ উৎপাদিত হয় তার ৮০ শতাংশ উৎপাদিত হয় বাংলাদেশেই। এছাড়া ইলিশ হচ্ছে বাংলাদেশের জাতীয় মাছ। স্বতন্ত্র স্বাদ ও গন্ধের জন্য বাংলাদেশে ইলিশ ‘মাছের রাজা’ হিসাবে সকলের কাছে পরিচিত। গবেষকেরা আরও জানান, ইলিশের গায়ে বেশি চর্বি থাকার কারণে এই মাছ শুকিয়ে সংরক্ষণ করা সম্ভব না। এছাড়াও এতে মৎস্যজীবীরাও লাভবান হবেন। কারণ, মাছ ধরার মরশুমে মধ্যস্বত্বভোগীরা মৎস্যজীবীদের কাছ থেকে সস্তায় মাছ কিনে সেই মাছের বড় একটি অংশ মজুত করে রাখেন ও বাকি অংশ তাঁরা চড়া দামে বিক্রি করেন। কিন্তু ইলিশের ‘ইন্ডাস্ট্রিয়াল কৌটাজাতকরণ’ হলে মৎস্যজীবীদের ন্যায্যমূল্য পাওয়ার পথ প্রশস্ত হবে।
তাঁরা আরও বলেছেন, সাধারণ মাছের ব্যবসার সঙ্গে এই ইলিশ কোন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় যাবেনা। কারণ ক্যানড ইলিশের বাজার ভিন্ন হবে। তাই অনেকের কাছে স্বাদ পরীক্ষা করার পরে তাঁদের ইতিবাচক রিভিউ নিয়ে বিভিন্ন স্বাদের ইলিশের রেসিপি করে তা ক্যানড করা হচ্ছে। ৪ টুকরো ইলিশ মাছ সহ এই ক্যানড ইলিশের দাম রাখা হয়েছে ৩২০ টাকা। ইভিএম নিউজ