ব্যুরো নিউজ, ৬ ফেব্রুয়ারি: জেলা প্রশাসন বেঁধে দিল স্কুলগুলির মিড-ডে মিলের নতুন মেনু। কিন্তু প্রশ্ন একটাই। মেনুর তো পরিবর্তন হলো, কিন্তু বরাদ্দ বাড়বে কি? তবে প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, পড়ুয়াদের পুষ্টির ক্ষেত্রে যাতে কোন ঘাটতি না থাকে, তাই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়। বিভিন্ন জেলা থেকে মিড-ডে মিল সংক্রান্ত যে অভিযোগ নেওয়া হয়েছে, সেই সমস্ত কারণে মিড-ডে মিলের নতুন মেনু বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
মিড-ডে মিলের নতুন মেনু ঘোষণা
প্রশাসন আরও জানিয়েছে, রাজ্যে এমন অনেক স্কুল আছে যারা নিজেদের ইচ্ছামতো মিড-ডে মিলের মেনু তৈরি করতো। ফলে রাজ্যের বিভিন্ন স্কুল থেকে মিড-ডে মিলের খাবার সংক্রান্ত বহু অভিযোগ উঠে আসে। সবচেয়ে বেশি অভিযোগ খাবারের পুষ্টি ও মান নিয়ে উঠছে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে স্কুলে স্কুলে বিক্ষোভের ঘটনাও চোখে পড়েছে।
বিদেশের মাটিতে হিন্দু মন্দিরের উদ্বোধন করবেন নরেন্দ্র মোদী
জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ শান্তনু কোনার জানান, এই সমস্ত দিক বিচার করেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে। তিনি আরও বলেন, “পড়ুয়াদের পুষ্টির জোগান নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মিড-ডে মিলের নির্দিষ্ট মেনু ঠিক করা হয়েছে। জেলার স্কুলগুলিকে এই মেনু অনুযায়ী মিড-ডে মিলের ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। সপ্তাহে ছ’দিনের জন্য নির্দিষ্ট মেনু ঠিক করে দেওয়া হয়েছে”।
তবে মিড-ডে মিলের নতুন মেনু প্রসঙ্গে শিক্ষকদের একাংশের মন্তব্য, মিড-ডে মিলের জন্য দৈনিক প্রায় ১৪ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। সেই টাকায় ভাত, ডাল, ডিম, তরকারি, সোয়াবিন কী দেওয়া যাবে? কৃষ্ণপুর স্কুলের প্রধান শিক্ষক সৌমেন কোনার এই বিষয়ে বলেন, “নির্দেশ মতো আমাদের স্কুলে মিড-ডে মিল খাওয়ানো হয়। তবে সরকারের কাছে আবেদন, বরাদ্দ বৃদ্ধির দিকটিতেও একটু নজর দেওয়া হোক”। তবে, প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, বিষয়টি আলোচনার মধ্যে রয়েছে। ইভিএম নিউজ