ব্যুরো নিউজ, ১২ ডিসেম্বর: নিখোঁজ হয়ে যাওয়া কিশোরীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার
চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল এক কিশোরী। নিখোঁজ হয়ে যাওয়া ওই কিশোরীর পরিবার থানায় অভিযোগ দায়ের করে। আর পরিবারের দায়ের করা সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে পুলিশ। সেই কিশোরীকে বিহার থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে পুলিশ। মাসখানেক সরকারি হোমেও ছিল সে। কিন্তু গত দুর্গাপুজোর আগে হোম থেকে ওই কিশোরীকে নিজের সাথে বাড়িতে নিয়ে যান পরিবারের সদস্যেরা। রবিবার সন্ধ্যার সময় ঘর থেকে উদ্ধার হল সেই কিশোরীর ঝুলন্ত দেহ। ঘটনাটি ঘটেছে ফুলবাগান থানা এলাকায়। একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ওই কিশোরীর বয়স ১৫ বছর। সে ফুলবাগান থানা এলাকার একটি স্কুলে নবম শ্রেণিতে পড়তো। মা-বাবার সঙ্গেই থাকত সে। তার মা-বাবা রাস্তার ধারে একটি ছোট খাবারের হোটেল চালান। পরিবার সুত্রে খবর, রবিবার সন্ধ্যায় তাঁরা কেউ বাড়িতে ছিলেন না। দোকানে গিয়েছিলেন। বাড়িতেই একাই ছিল ওই কিশোরী। মেয়ের খেয়াল রাখতে তার কাকাকে বলে গিয়েছিলেন মা-বাবা। এরপর সন্ধ্যা নাগাদ ওই কিশোরী জামাকাপড় বদলানোর জন্য কাকাকে ঘরের বাইরে যেতে বলে। কাকা বাইরে গেলে ভিতর থেকে দরজা বন্ধ করে দেয় সে।
কলকাতায় দুই ব্যাক্তির মরণোত্তর অঙ্গদান
দীর্ঘ সময় পরেও মেয়েটি দরজা না খোলায় সন্দেহ হয় কাকার। তাঁর কাকা দরজায় ধাক্কা দিলেও সে কোন সাড়াশব্দ দেয় না। পরে ভিতরে ঢুকে তাঁর কাকা ওই কিশোরীর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। তড়িঘড়ি তাঁকে সেখান থেকে উদ্ধার করে ইএম বাইপাসের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশায় রয়েছে পরিবারের সদস্যেরা। মৃতার মা জানান, “পুজোর আগে একটি ছেলেকে ভালবেসে তাঁর সাথে বিহারে চলে গিয়েছিল তাঁর মেয়ে। পুলিশ গিয়ে সেখান থেকে তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। তবে এখন ওই ছেলেটির সঙ্গে কোনও সম্পর্ক ছিল না তাঁর মেয়ের। কেন এরকম করল, কিছু বুঝতে পারছি না”। ইভিএম নিউজ
