ব্যুরো নিউজ, ২১ নভেম্বর: টাটাকে বিদায় করে বাংলায় কোন গাড়ির কারখানার স্বপ্ন সরকারের?
টাটাকে ‘টাটা’ করে এখন বিরাট ভর্তুকির মুখে রাজ্য সরকার। ‘ঘটিবাটি বেচতে হবে সরকারকে’ চার দিক থেকে এমনই কটাক্ষ ছুটে আসছে রাজ্য সরকারের দিকে।
মায়ের মমত্বের অন্যতম নজির! মৃত্যুমুখে দাড়িয়েও তাঁর পরিচয় তিনি একজন মা!
টাটাকে বিদায় করে এই সরকারের উত্থান, যখন টাটার কারখানা তৈরির কাজ প্রায় সম্পূর্ণ, সেই অবস্থাতেও রাজ্য থেকে বিদায় নিতে হয়েছিল টাটা ইন্ডাস্ট্রিকে। টাটার সেই বিদায়ের সুর সেদিন সকল বঙ্গবাসীর মনে না বিঁধলেও, আজ শিল্পপতির বিদায়ের সুর হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে রাজ্যবাসী। আজ টাটার বলা ‘বন্দুক আমার মাথায় রাখা হয়েছিল’-এই কথাটির মানেও দেখতে পাচ্ছে সকলে।
তবে রাজ্য থেকে একটি শিল্প গেলেও দুঃখ নেই! একের বদলে মুখ্যমন্ত্রী এনেছে একাধিক শিল্প! যেমন- চপ শিল্প, কচুরিপানার থালা, কাশ ফুলের বালিশ ইত্যাদি ইত্যাদি…
তবে এখানেই শেষ নয়, আরও বড় শিল্প হল ‘কাটমানি’! যে দিকেই তাকাও চারদিকে রমরমিয়ে চলছে ‘কাটমানি শিল্প’! এই শিল্পের চাপে পড়েই পিছু হটে ছিল জিন্দাল গোষ্ঠীও। আর আজ ভূতের মুখে রাম নাম!
আজ সরকার নিজেই বলছে, “তাদের কাছে জায়গা আছে, তারাই জমি দেবে। বাংলাতেই হবে বিদ্যুৎচালিত গাড়ির কারখানা।”
মঙ্গলবার সোনার বাংলায় ‘বেঙ্গল ন্যাশনাল চেম্বার কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি’ নামে একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। বাংলায় এখন চলছে ‘বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট’। সে প্রসঙ্গে ফিরহাদ হাকিম বলেন, “বিদ্যুৎ চালিত গাড়ি তৈরির জন্য বিদেশে সংস্থাদের আহ্বান জানানো হয়েছে বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিটে। আমাদের কাছে জমি রয়েছে, জমি আমরা দেব।”
বাংলায় বিদ্যুৎচালিত গাড়ি, বাস চালানোর ওপর জোর দিচ্ছে রাজ্য সরকার। আর সেক্ষেত্রে সেই গাড়ি তৈরির কারখানা গড়ার জন্য বিনিয়োগের আহ্বান করা হয়েছে। মন্ত্রীর কথায়, “আমাদের কাছে জায়গা আছে, আমরা জমি দেব।
মন্ত্রীর দাবি, বাংলায় ব্যবসা করার মতো অনুকূল পরিস্থিতি রয়েছে। মন্ত্রী উচ্ছ্বসিত হয়ে বলেন, “আমি খুব উৎসাহিত। ইউকে থেকে প্রায় ৫৭ টি কোম্পানি এসেছে। ৩ লক্ষ কোটি টাকা বিনিয়োগ আমরা আশা করছি।” নগরোন্নয়নের ক্ষেত্রে বিদেশি সংস্থাগুলি কী কী কাজ করে, তার ওপর বাংলার ফোকাস।
তবে কি চোট পেয়েই হুশ ফিরল সরকারের?
বাংলায় ন্যানো গাড়িকে ‘না’ করায় খেসারত ৭৬৫ কোটি ৭৮ লক্ষ টাকা। এছাড়াও মামলা খরচ বাবদ ১ কোটি টাকা-সহ ২০১৬ সাল থেকে ১১ শতাংশ সুদ গুনতে হবে রাজ্যকে। যা প্রায় ১৫০০ কোটির ধাক্কা রাজ্য সরকারের কোষাগারে। তবে এই বিরাট চোট খেয়েই কি হুশ ফিরল সরকারের?
বাংলা থেকে টাটা ন্যানোকে বিদায় করে এখন আবার ফের গাড়ি তৈরির কারখানা গড়ারই স্বপ্ন দেখছে মমতা সরকার। ইভিএম নিউজ