ব্যুরো নিউজ, ৯ অক্টোবর: নিশ্চিহ্ন আফগানিস্থানের ১২টি গ্রাম | মৃতের সংখ্যা ২’হাজার পার
পরপর ৩টি ভূমিকম্প। নিমেষেই নিশ্চিহ্ন আফগানিস্থানের ১২টি গ্রাম। মৃতের সংখ্যা পার করেছে ২০০০।
বাজার দখল করতে রিলায়েন্স আনছে নতুন পণ্য
এযেনও এক দুঃস্বপ্ন। ৩০ মিনিটের মধ্যেই তছনছ গোটা শহর। পশ্চিম আফগানিস্তানের হেরাটের স্থানীয় সময় তখন শনিবার দুপুর ১২টা ১১, সেই সময়েই হয় প্রথম কম্পন, রিখটার স্কেলে তীব্রতা ৬.১। এরপর ১২টা ১৯ মিনিটে দ্বিতীয় কম্পন, কম্পনের মাত্রা ৫.৬। তৃতীয় কম্পন হয় ১২টা ৪২ মিনিটে, কম্পনের তীব্রতা ছিল ৬.২। এরপরই সব শেষ। রীতিমতো ধ্বংসস্তূপের পরিণত হয় সাজানো শহর গুলি।
প্রকৃতির এই তাণ্ডব লীলায় মানুষ বড়ই অসহায়। প্রকৃতির এই রোষে এক মুহূর্তে বলি প্রায় তিনশোরও বেশি প্রাণ। তবে রবিবার আফগান সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ভূমিকম্পের ফলে ২০০০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। হেরাট প্রশাসন জানিয়েছে, ভূমিকম্পের জেরে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে জিন্দা জান ও ঘোরিয়াঁ জেলায়। এই দুই জেলার মোট ১২টি গ্রাম পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে। কত মানুষ ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়ে আছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
জানা যাচ্ছে, কম্পনের উৎসস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ৭.৭ কিলোমিটার গভীরে। গত ৪ সেপ্টেম্বর ভূমিকম্পে কেপে ওঠে আফাগনিস্তানের ফৈজাবাদ। কম্পনের তীব্রতা ছিল ৪.৪। তারও আগে ২৮ আগস্টেও ৪.৮ মাত্রায় কম্পন অনুভূত হয়। বলা যায় ধারাবাহিক ক্রমেই চলছে ভূমিকম্প। আগস্ট, সেপ্টেম্বরের পরেই ৭ অক্টোবর। তবে আগের বারগুলির মতোন এবার আর শেষরক্ষা হলনা। ভূমিকম্পে এখনও পর্যন্ত ১৩২৯টি বাড়ি ভেঙে পড়ার খবর পাওয়া গেছে। মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০৫৩। জখম প্রায় ৯২৪০। তবে ধ্বংসস্তূপের নীচে এখনও আটকে রয়েছে বহু মানুষ। ইভিএম নিউজ