ডঃ জয়ন্ত তপাদার, ৩ সেপ্টেম্বর: সন্তানের পড়াশোনায় অমনোযোগের আসল কারণ কি?

 

অনেক বাবা-মা অভিযোগ করে থাকেন তাদের ছেলেমেয়েরা পড়তে চাইছে না। কেউ কেউ বলেন ছোটবেলায় ভালো পড়াশোনা করত কিন্তু যত বড় হচ্ছে তত ফাঁকিবাজ হয়ে যাচ্ছে। আবার কোন কোন বাচ্চারা যত উঁচু ক্লাসে ওঠে দেখা যায় মন দিয়ে পড়াশোনা করছে। এগুলো কি শুধুই ইচ্ছা অনিচ্ছার ওপর নির্ভর করে? নাকি এর পেছনে রয়েছে অন্য কারণ?

বর্তমানে আধুনিক যুগের ছেলেমেয়েদের হাতে হরিনামের মালার মত সর্বক্ষণ স্মার্টফোন দেখা যায় আর তাতে তারা ভীষণই ব্যস্ত হোয়াটসঅ্যাপ ফেসবুকে চ্যাট করতে। আবার কেউ কেউ আরও এক ধাপ এগিয়ে পর্নোগ্রাফির ছবি দেখতেই দিনরাত কাটিয়ে দিচ্ছে। পড়াশোনায় ফাঁকি দিয়ে কেউ আবার বিভিন্ন নেশাতেই বুঁদ হয়ে থাকছে। বাহ্যজ্ঞানশূন্য হয়ে। এরা ভুলেই যায় যে এদের ভবিষ্যতে কি হবে।

কোন বিশেষ অশুভ সংযোগে এই ছাত্র-ছাত্রীরা বিপথগামী হচ্ছে?

জন্ম ছক বা হরস্কোপে লগ্ন সাপেক্ষে চতুর্থ ভাবে যদি রাহু অবস্থান করে তবে পড়া বাদ দিয়ে সবকিছু করবে। পড়তে চাইবে না। অথবা চতুর্থ ভাবে বুধ চন্দ্র বা বুধ রাহু আদি অবস্থান করে তবে জাতক বা জাতিকার যথেষ্ট মেধা থাকা সত্ত্বেও জানা জিনিস পরীক্ষার খাতায় ভুল করে আসবে আর এই ছোট ছোট ভুলের জন্য পরীক্ষায় নম্বর কম পাবে।

স্মার্ট বিনিয়োগ হতে পারে মিউচুয়াল ফান্ড!

চতুর্থ পতি যদি দ্বাদশে অবস্থান করে আর তার ওপর যদি রাহুর দৃষ্টি থাকে তবে ওই স্টুডেন্ট হোস্টেলে পড়তে গিয়ে নেশা থেকে শুরু করে সব ধরনের খারাপ সঙ্গে মিশে যাবে। চতুর্থ ভাবে শুক্র ও রাহু অবস্থান করলে অথবা চতুর্থে রাহু ও পঞ্চমে শুক্র অবস্থান করলে সেই ছাত্র বা ছাত্রীটি বহু বিপরীত লিঙ্গের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়বে। লগ্নপতি দুঃস্থান গত অর্থাৎ ষষ্ঠ অষ্টম বা দ্বাদশে অবস্থান করলে অথবা ওই ভাবের নক্ষত্রপতির সঙ্গে কোনভাবে যুক্ত হলে জাতকের শরীর স্বাস্থ্য ভালো যাবে না ফলে পরীক্ষার রেজাল্ট খারাপ হবে।

এছাড়া যদি কারো হরস্কোপে কালসর্প দোষ থাকে বিশেষ করে রাহু ও কেতুর অবস্থান চতুর্থ ভাব ও দশমভাবকে কেন্দ্র করে হয় তবে জাতক বা জাতিকা যত উঁচু ক্লাসে উঠবে তার নম্বর ক্রমশ ভীষণভাবে কমতে থাকবে। তাই বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে খারাপ যোগগুলোর ফল ক্রমশ বেশি রকম প্রকাশ পেতে থাকে। সব অভিভাবকদের তাদের সন্তানদের ক্লাস এইট এর মধ্যে হরস্কোপের অশুভ যোগগুলোর প্রতিকার করা উচিত। সন্তানের সুন্দর বাধা বিঘ্নহীন জীবনের কারিগর হতে পারেন আপনারাও যারা ক্লাস নাইন-টেন এমনকি একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীতে পড়ছে তাদের অভিভাবকদের সন্তানদের হরস্কোপের সঠিক কাউন্সেলিং করে নেওয়া একান্ত প্রয়োজন। যে সময়ের মূল্য দেয় না তাকে সারা জীবন চরম মূল্য দিয়ে তা চোকাতে হয়।

ডঃ জয়ন্ত তপাদার (জ্যোতিষ রত্ন উপাধি) যোগাযোগ- ৮২৫০৬২৭২০৩/ ৯৪৭৪৭৩২৯০১। ইভিএম নিউজ

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর