ব্যুরো নিউজ, ৩১ আগস্ট: বিস্ময়কর তথ্য পাঠাচ্ছে প্রজ্ঞান। চাঁদের মাটিতে ২৪ ঘন্টা পরিশ্রম করে চলেছে, ল্যান্ডার বিক্রম ও রোভার প্রজ্ঞান। তবে প্রজ্ঞানের দায়িত্বটাই সবচেয়ে বেশি।

মঙ্গলবার ইসরোর তরফ থেকে জানানো হয় ইতিমধ্যেই প্রজ্ঞান গবেষণায় বেশ খানিকটা এগিয়ে গিয়েছে। রোভার প্রজ্ঞান চন্দ্রপৃষ্ঠের উষ্ণতা ও খনিজ পদার্থের সন্ধান দিয়েছে। চন্দ্রযান-১ আগেই সন্ধান দিয়েছিল অক্সিজেনের। এবার প্রজ্ঞান তথ্য প্রমাণ দিয়ে তা নিশ্চিত করল। এরই পাশাপাশি টাইটেনিয়াম, অ্যালুমিনিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ক্রোমিয়াম, আয়রন, সিলিকন শনাক্ত করেছে প্রজ্ঞান। আর এইসব খনিজ পদার্থের সন্ধান করতে সাহায্য করেছে প্রজ্ঞানে অবস্থিত লেজার ইনডিউসড ব্রেকডাউন স্পেকট্রোস্কোপি যন্ত্র।

এছাড়াও প্রজ্ঞান মাটি ও পাথরের প্লাজমা পরীক্ষা করে তথ্য পাঠাচ্ছে পৃথিবীতে। ইতিমধ্যেই প্রজ্ঞান বিক্রম ল্যান্ডারের একটি সুন্দর ছবি পৃথিবীতে পাঠিয়েছে তার নেভিগেশন ক্যামেরার মাধ্যমে।

চাঁদের পর ‘মিশন SUN’

গুটি গুটি পায়ে চন্দ্রপৃষ্ঠে প্রজ্ঞান যখন ঘুরছে তখন তার ৩ মিটার আগেই সে চিহ্নিত করতে সক্ষম হয় যে সামনেই একটি ৪ মিটারের গর্ত আছে। ফলে সঙ্গে সঙ্গে সে তার পথ পরিবর্তন করতেও সক্ষম হয়। চন্দ্রপৃষ্ঠে এ ধরনের অজস্র ছোটখাটো গর্ত আছে এমনটাই খবর পাঠায় সে। পাশাপাশি প্রজ্ঞান মাটির উষ্ণতা মাপতে সক্ষম হয়। সে জানায় চন্দ্রপৃষ্ঠে -১০ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড থেকে ৮০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড পর্যন্ত তাপমাত্রা থাকে। চন্দ্রপৃষ্ঠে মাটির ৮০ মিলিমিটার নীচে তাপমাত্রা -১০°সেন্টিগ্রেড। চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে ২০মিলিমিটার উপরের তাপমাত্রা ৬০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড।

তবে সময় যত ফুরিয়ে আসছে প্রজ্ঞানের কাজের দায়িত্ব তত বেড়ে যাচ্ছে। আগামী দিনে হাইড্রোজেনের উপস্থিতি-সহ আরও অজানা তথ্য জানানো প্রজ্ঞানের কাছে এখন বড় চ্যালেঞ্জ। ইভিএম নিউজ

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর