ইভিএম নিউজ ব্যুরো, ২০ জুলাইঃ (EVM News) অধীর রঞ্জন চৌধুরীর কি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ যেতে চলেছে এবার? সোনিয়া-মমতার সম্পর্কের নতুন সমীকরণে খুব পড়তে চলেছে অধীরের ঘাড়ে? কংগ্রেস সূত্রের খবর, অধীরের পরিবর্তে কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্যকে প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি করার প্রস্তাব নয়, রীতিমতো নির্দেশ আসতে চলেছে কংগ্রেসের হাই কমান্ডের।

রাজনৈতিক মহলে তাই জল্পনা শুরু হয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সোনিয়া গান্ধী দুজনেই জানেন, অধীরের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদ বজায় থাকলে,তা তৃণমূল-কংগ্রেস জোট এবং আসন ভাগাভাগির ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি করতে পারে। অন্যদিকে প্রদীপ ভট্টাচার্যের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্ক বেশ সখ্যতার। তাছাড়াও প্রদীপ, অধীরের মতো কট্টর মমতা বিরোধী নয়। ফলে প্রদীপ ভট্টাচার্য প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কংগ্রেসের ওপর আধিপত্য কায়েম অনেক সহজ হয়ে যাবে।

এছাড়াও তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রায়সই বহরমপুর লোকসভা দখলের হুমকি দিতে শোনা গেলেও, অধীর গড়ে থাবা বসাতে বারে বারেই ব্যর্থ হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর তাই রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে সুসম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একদিকে যেমন আসনসমঝোতা অন্যদিকে, বহরমপুর দখলের রাস্তা পরিষ্কার করে এক ঢিলে দুই পাখি মারার মোক্ষম চাল চাললেন। রাজনৈতিক মহলের আরো পর্যবেক্ষণ, বিগত নির্বাচনগুলিতে যেভাবে এর সংখ্যালঘু ভোটের একটা অংশ কংগ্রেসের দিকে চলে গিয়েছে, কংগ্রেসকে পশ্চিমবাংলায় দুর্বল করে দিলে, সেই ভোটও তৃণমূলের পক্ষে ফিরিয়ে আনা সম্ভব।

২০২৩ পঞ্চায়েত নির্বাচনে যে সমস্ত কংগ্রেস কর্মীদের প্রাণ বিসর্জন দিতে হয়েছে এই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতিদেরই তান্ডবে, যে অভিযোগ পশ্চিমবাংলার কংগ্রেস নেতৃবৃন্দই করে থাকে, সেই কংগ্রেস কর্মীদের বলিদানকে উপেক্ষা করে কংগ্রেস তৃণমূলের জোট,কংগ্রেসের অস্তিত্বকে পশ্চিমবাংলায় কতটা টিকিয়ে রাখতে পারে, সেটাই এখন দেখার। (EVM News)

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর