ইভিএম নিউজ ব্যুরো, ১৩ জুলাইঃ (Latest News) ফের পুনর্নির্বাচন হবে হাওড়ার সাঁকরাইলের ১৫টি বুথ এবং সিঙ্গুরের ১ টি বুথে। বৃহস্পতিবার এই বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
কমিশনের তরফে জানান হয়েছে, সাঁকরাইলের ওই ১৫টি বুথে ভোট দেওয়া ব্যালট পেপার ছিনতাই করা হয়। ফলে ওই বুথগুলোতে ভোট গণনার কাজ সম্পূর্ণ করা সম্ভব হয়নি। আর যার ফলে ওই ১৫টি বুথে ফের নির্বাচন হবে। এর আগে ভোট গণনার দিন সাঁকরাইলে তৃণমূল বিধায়ক প্রিয়া পালের বিরুদ্ধে ব্যালট লুঠের অভিযোগ ওঠে।
উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিভিন্ন এলাকা থেকে এসেছে বিশৃঙ্খলার অভিযোগ। ৬৯৬টি বুথে পুনর্নিবাচনও হয় সোমবার। মঙ্গলবার থেকে শুরু হয় ভোটগণনা। ভোটগ্রহণ থেকে ভোটগণনা – নানা অপ্রীতিকর ঘটনাই উঠে এসেছে টেলিভিশনের পর্দায়। ব্যালট পেপারে কালি ঢেলে দেওয়া, মারামারি, ব্যালট পেপার নিয়ে দৌড় এমনকি ব্যালট পেপার খেয়ে ফেলা পর্যন্ত সবটারই সাক্ষী থেকেছে গোটা বাংলা। গণনার দিনও জেলায়-জেলায় বিক্ষিপ্ত অশান্তি হয়। ভোটের ফলে অবশ্যই বড়সড় ব্যবধানে গ্রাম বাংলার রাশ নিজের হাতে রাখে তৃণমূল কংগ্রেস।
উত্তরবঙ্গ থেকে জঙ্গলমহল, নিজেদের গড়েই ধাক্কা খায় বিজেপি। বরং তুলনায় ভাল ফল করে কংগ্রেস এবং বামেরা। কিন্তু ভোট গণনার কাজ সম্পূর্ণ করা সম্ভব হয়নি বেশ কয়েকটি বুথে। সেই জায়গাগুলোতেও ফের ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।
শনিবার যে ৬৯৬টি বুথে ফের ভোট হয়, সেখানেও কোথাও কোথাও ছিল ভয়ের ছবি।কোথাও আতঙ্কে কাঁদেন বিরোধী দলের প্রার্থী। কোথাও আতঙ্কে ঘরছাড়া হন।কোথাও ধরা পড়ে একগাড়ি বহিরাগত! কোথাও আবার ভুয়ো ভোটার! জায়গায় জায়গায় বোমাবাজির ঘটনা। এদিন বিভিন্ন জায়গায় পুলিশকেও দেখা যায় সক্রিয় ভূমিকায়। যে ছবিটা দেখা যায়নি ভোটের দিন। তার পরেও ফের ১৫ টি বুথে ভোটগ্রহণ করতে হচ্ছে। সেখানে কি আদৌও বজায় থাকবে শান্তি ? একমাত্র সময়ই দেবে উত্তর।(EVM News)