ইভিএম নিউজ ব্যুরো, ১২ জুনঃ(Latest News) পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন পর্বের প্রথম দু’দিনেই অশান্তির সাক্ষী থেকেছেন রাজ্যবাসী। অশান্তি রুখতে এবার কঠোর ব্যবস্থা নিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তাই এবার বাকি দিনগুলো শান্তিপূর্ণ রাখতে ১৪৪ ধারা প্রয়োগ করল নির্বাচন কমিশন। রবিবার কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, সব জেলায় ডিএম, এসপি দের নির্দেশ পাঠানো হয়েছে যে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার কেন্দ্রের ১ কিলোমিটার ব্যাসার্ধে ১৪৪ ধারা জারি করতে হবে। নিষিদ্ধ করা হবে জমায়েত। বেলা ১১ টা থেকে বেলা ৩ টে পর্যন্ত এই বিধি কার্যকর।
বিরোধীরা ইতিমধ্যেই মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময়সীমা বাড়ানোর দাবি তুলেছেন। কলকাতা হাইকোর্ট আজ, সোমবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে তাদের অবস্থান জানাতে বলেছে। কিন্তু কমিশন সূত্রের খবর, আইনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময়সীমা বাড়ানোর সুযোগ নেই।
মনোনয়ন দিতে যাওয়ার সময় প্রার্থীর সঙ্গে একজন সহযোগীকে ভিতরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে। এ দিনের নির্দেশকে তাৎপর্যপূর্ণ মনে করছেন পর্যবেক্ষকেরা।
এই প্রসঙ্গে কমিশনের কর্তারা বলেছেন, পরিস্থিতির ভিত্তিতে আরও একদিন অর্থাৎ ১৬ জুন পর্যন্ত মনোনয়ন জমা নেওয়ার ব্যবস্থা করা হলে সমস্যা নেই। মনোনয়পত্র পরীক্ষার দিন ১৭ জুন ঘোষিত হয়েছে। সেক্ষেত্রে আদালত মনোনয়ন জমার সময়সীমা এক দিনের বদলে দু’দিন বাড়াতে বললে ভোটের নির্ধারিত সময়সীমা বদলাতে হবে বলে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন।
এর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তায় ভোটের দাবিও করছে বিরোধীরা। রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা করে আজই আদালতকে কমিশনের অবস্থান জানাতে হবে। রাজ্য সরকার অবশ্য কেন্দ্রীয় বাহিনী নয়, রাজ্য পুলিশ দিয়েই ভোট করতে চায়। প্রয়োজনে ভিন রাজ্যের পুলিশ আনতে রাজ্য সরকারের আপত্তি নেই। কিন্তু ৬১ হাজার ৬৩৬টি বুথে এক দফায় পঞ্চায়েত ভোট করতে অন্তত দেড় লক্ষ পুলিশকর্মী দরকার।
এই বিশাল সংখ্যক পুলিশ কর্মী কি রয়েছে রাজ্যের? এটাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। কারণ, এখানে সিভিক ভলান্টিয়ারদের ভোটে ব্যবহার করা যাবে না।
নবান্ন সূত্রের খবর, দু’টি রাজ্য থেকে পুলিশ আনার ব্যাপারে কথাবার্তা চলছে। তবে ইতিমধ্যে অসম-সহ দু’টি রাজ্য পুলিশ দেওয়া সম্ভব নয় বলেও জানা গিয়েছে।(EVM News)
