ইভিএম নিউজ ব্যুরো, ২ মেঃ বিশ্বের কাছে এ এক পৈশাচিক ঘটনা। শবদেহের সঙ্গে যৌন লালসা। এমনি পৈশাচিক ঘটনা ঘটল পাকিস্তানে।
পাকিস্তানে মেয়দের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে প্রায়ই। কিন্তু মৃত্যুর পোরও কি যৌন লালসা থেকে ছার পাবে না নারীদেহ? পাকিস্তানি দৈনিক ‘ডেইলি টাইমস’-এ প্রকাশিত একটি সম্পাদকীয় তুলে ধরল সেই প্রশ্নই। সেই এডিটোরিয়ালের বক্তব্য, কবর থেকে মেয়েদের দেহ তুলে ধর্ষণ করা হচ্ছে। মৃত মেয়েদের অঙ্গ রক্ষার্থে কবরের উপর লহার গেত লাগিয়ে তালা ঝুলিয়ে দিতে বাধ্য হচ্ছে বারির লোক।
নেক্রেফিলিয়া বা শবদেহের সঙ্গে যৌনাচারের ঘটনা বিড়ল নয়। ২০১১ সালে পাকিস্তানে এরকমই একটি ঘটনা সামনে এসেছিল। সেই ঘতনায় গ্রেফতার করে হয়েছিল এক সমাধিক্ষেত্রের দারোয়ান মহম্মহ রিজওয়ানকে। নর্থ নাজিমাবাদের এই বাসিন্দা ৪৮ জন মহিলা দেহকে ধর্ষণের কথা স্বিকার করেছিলেন বলে পুলিশ সুত্রে খবর।
‘ডেইলি তাইমস’-এর এডিটোরিয়ালের দাবি, সাম্প্রতিক কালে এ ধরনের অপরাধ বারছে। ২০১৯,২০২০,২০২১ এমনকি ২০২২ এও এমন ঘটনার খবর মিলছে পাকিস্তান থেক। এমনিতেই পাকিস্তানে মহিলাদের ওপর অপরাধের হার বেশি।
অপরাধের তথ্য পরিসংখ্যান বলছে প্রতি দু’ঘণ্টায় পাকিস্তানে একজন মহিলা ধর্ষিত হন। সংবাদপত্রটির দাবি, কবরের উপর তালাবদ্ধ গ্রিলের ছবি লজ্জায় পুরো সমাজের মাথা হেঁট করে দেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট।
প্রাক্তন মুসলিম সমাজকর্মী এবং ‘দ্য কার্স অফ গড, হোয়াই আই লেফট ইসলাম’ বইয়ের লেখক হ্যারিস সুলতান টুইট করে লিখেছেন, ‘পাকিস্তান এমন এক্তা সমাজ তৈরি করেছে, যেখানে ছেলেদের যৌন লিঙ্গ ধর্ষণের হাত থেক বাঁচানোর জন্য মেয়েদের কবরেও তালা দিতে হচ্ছে। বরখার সঙ্গে ধর্ষণকে যুক্ত করলে এই পরিণতিই হবে’। একই বক্তব্য পাকিস্তানের নেটিজেনদের অনেকেই। (EVM News)