ব্যুরো নিউজ, ৬ ডিসেম্বর : সওয়া এক কোটি টাকার প্রতারণার তদন্ত করতে গিয়ে বিধাননগর সিটি পুলিশ এবং রাজ্য সাইবার শাখা উদঘাটন করেছে প্রায় ২৫০ কোটি টাকার এক বিশাল আন্তর্জাতিক সাইবার প্রতারণা চক্রের। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে তিনজন চক্রের মূল পান্ডা— শিলিগুড়ির বাসিন্দা অভিষেক বনসল, গুজরাতের মায়াঙ্ক চৌধুরী এবং ফরিদাবাদের অমিত জিন্দল। সকলেই বর্তমানে দুবাইয়ে থাকতেন এবং সেখান থেকেই চক্রটি পরিচালিত হতো।
রাশিফল: আজ শুক্রবার যেকোনো কাজে সাফল্য এনে দেবে এই ৪ রাশির ভাগ্য!
প্রতারণার মোট অঙ্ক প্রায় ২৪৫ কোটি টাকা
চক্রটি ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে ভুয়ো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলে সিম কার্ড সংগ্রহ করে প্রতারণার কাজ চালাত। ২৯টি রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা এই জালিয়াতির চক্র প্রায় আড়াই হাজার অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করেছিল যার মধ্যে ৭০০টির বেশি ইতিমধ্যেই চিহ্নিত হয়েছে। পুলিশের দাবি প্রতারণার মোট অঙ্ক প্রায় ২৪৫ কোটি টাকা। চক্রটির আন্তর্জাতিক যোগাযোগ রয়েছে, শ্রীলঙ্কা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ়-সহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সংযোগের প্রমাণ মিলেছে।তদন্তকারীরা জানান ভুয়ো নথি দিয়ে মোবাইল সিম সংগ্রহ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা এবং ট্রেড লাইসেন্স তৈরির মাধ্যমে চক্রটি প্রতারণা চালাত। নাগেরবাজারের একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের কর্মীসহ একাধিক ব্যাঙ্ককর্মীর যোগসাজশ পাওয়া গিয়েছে। এমনকি মোবাইল পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলিও তদন্তের আওতায় এসেছে।চক্রটি একটি সাইবার প্রতারণার মাধ্যমে সল্টলেকের এক চিকিৎসককে ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগ করতে প্রলুব্ধ করে। তিনি প্রায় সওয়া কোটি টাকা বিভিন্ন ভুয়ো অ্যাকাউন্টে জমা করেন। পরে টাকা তুলতে না পেরে পুলিশে অভিযোগ জানান।
শিক্ষক-শিক্ষিকাদের স্কুলের বেতন দেওয়া হচ্ছে চাঁদা তুলে ! কোন স্কুল দেখুন ?
তদন্তে জানা যায়, প্রতারকরা ভুয়ো অ্যাকাউন্ট তৈরি করে, ট্রেড লাইসেন্স এবং আধার-প্যান কার্ড ব্যবহার করে সিম কার্ড সংগ্রহ করত। এসব কার্ড দুবাইয়ে পাঠানো হত, যেখানে সেগুলি হোয়াটস্যাপে সক্রিয় করে প্রতারণা চালানো হত।পুলিশ ইতিমধ্যেই কলকাতা ও মুজফ্ফরপুরের বিভিন্ন জায়গা থেকে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে সাইবার প্রতারণার আরও তথ্য জানার চেষ্টা চলছে।