ব্যুরো নিউজ,২৬ ফেব্রুয়ারি :মহাশিবরাত্রি এমন একটি দিন, যখন ভক্তরা বিশেষভাবে ভগবান শিবের পূজা করেন এবং বিভিন্ন জ্যোতির্লিঙ্গের পুজোও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। ভারতের বিভিন্ন স্থানে ১২টি জ্যোতির্লিঙ্গ রয়েছে, যেগুলি ভগবান শিবের অসীম ও অদ্বিতীয় শক্তির প্রতীক। এই জ্যোতির্লিঙ্গগুলি ভক্তদের আধ্যাত্মিক অভিপ্রায় অর্জনে সহায়তা করে। দেখা যাক, এই ১২টি জ্যোতির্লিঙ্গ কোথায় অবস্থিত এবং প্রতিটির তাৎপর্য কী।
মহাশিবরাত্রিতে শিবলিঙ্গে কোন ফল নিবেদন করা উচিত নয়? জানুন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
জানুন
১. সোমনাথ (গুজরাট)
এটি প্রথম জ্যোতির্লিঙ্গ হিসেবে পরিচিত এবং শিবের চিরন্তন প্রকৃতির প্রতীক। বহুবার পুনর্নির্মিত হয়েছে এই মন্দির।
২. মল্লিকার্জুন (অন্ধ্রপ্রদেশ)
ভগবান শিব ও দেবী পার্বতীর মিলনস্থল হিসেবে এই মন্দিরটি গুরুত্বপূর্ণ। এটি শক্তিপীঠ হিসেবেও পরিচিত।
৩. মহাকালেশ্বর (মধ্যপ্রদেশ)
উজ্জয়িনীতে অবস্থিত এই মন্দির ভস্ম আরতির জন্য বিখ্যাত এবং শিব এখানে মৃত্যুর এবং সময়ের অধিপতি হিসেবে পূজিত হন।
৪. ওমকারেশ্বর (মধ্যপ্রদেশ)
এটি পবিত্র ‘ওম’ এর মতো আকৃতির এবং সর্বজনীন চেতনার প্রতীক।
৫. কেদারনাথ (উত্তরাখণ্ড)
এই মন্দিরটি হিমালয়ের কোলে অবস্থিত এবং এটি শিবের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্থান।
৬. ভীমশঙ্কর (মহারাষ্ট্র)
পুনে জেলার এই মন্দিরটি সবুজে ঘেরা এবং শিব এখানে অশুভের বিনাশকারী রূপে পূজিত হন।
৭. কাশী বিশ্বনাথ (উত্তরপ্রদেশ)
বারাণসীতে অবস্থিত এই মন্দির শিবের মুক্তি এবং আশীর্বাদ প্রদান করে।
৮. ত্র্যম্বকেশ্বর (মহারাষ্ট্র)
গোদাবরী নদীর উৎপত্তি স্থলের কাছে অবস্থিত এই মন্দির সৃষ্টি, সংরক্ষণ এবং ধ্বংসের চক্রের প্রতিনিধিত্ব করে।
৯. বৈদ্যনাথ (ঝাড়খণ্ড)
এই মন্দিরটি অসুস্থতা নিরাময়ের জন্য খ্যাত এবং শিবের আরোগ্যদানী শক্তি প্রকাশ করে।
বাবা বৈদ্যনাথ ধামে মহাশিবরাত্রির বিশেষ পুজোঃ চতুষ্প্রহর পুজো, সিঁদুর দান এবং পঞ্চশূলের ঐতিহ্য
১০. নাগেশ্বর (গুজরাট)
এই মন্দিরটি নেতিবাচক শক্তি থেকে সুরক্ষার প্রতীক হিসেবে পূজিত হয়।
১১. রামেশ্বরম (তামিলনাড়ু)
রামেশ্বরমে শিবের পূজা করেছিলেন ভগবান রাম, যিনি রাবণের সঙ্গে যুদ্ধের পরে ক্ষমা চেয়েছিলেন।
১২. গ্রীষ্ণেশ্বর (মহারাষ্ট্র)
এটি ইলোরা গুহাগুলির কাছে অবস্থিত, এবং এটি ক্ষুদ্রতম জ্যোতির্লিঙ্গ মন্দির। এটি সরলতা এবং বিশ্বাসের প্রতীক।
এই ১২টি জ্যোতির্লিঙ্গ শিবের অসীম শক্তির প্রতীক এবং এগুলির দর্শন আধ্যাত্মিক পরিপূর্ণতা এবং আশীর্বাদ অর্জনের পথপ্রদর্শক। অনেক ভক্ত এদের দর্শন করতে তীর্থযাত্রা করেন, যা তাদের জীবনকে আধ্যাত্মিকভাবে উন্নত করে। মহাশিবরাত্রিতে এই মন্দিরগুলিতে বিশেষ পূজা অনুষ্ঠিত হয়, যা ভক্তদের জন্য শুভ ফল প্রদান করে।