লাবনী চৌধুরী, ২৬ ফেব্রুয়ারি: লোকসভা নির্বাচনের আগে ব্রিগেডে সমাবেশের ডাক দিল তৃণমূল। আগামী ১০ মার্চ সেখানে সমাবেশ করবেন রাজ্যের শাসক দল। দলের তরফে তেমনই পোস্টার প্রকাশ করা হয়েছে। এ বারের ব্রিগেড সমাবেশের নাম দেওয়া হয়েছে ‘জনগর্জন সভা’।
সেখানে ১০০ দিনের কাজের টাকা, আবাস যোজনার টাকা-সহ একাধিক কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা বন্ধ করে দেওয়ার প্রতিবাদ করা হবে। কেন্দ্রের বঞ্চনার বিভিন্ন দিক সেখানে তুলে ধরবে শাসক দল। সোজা কথায় ‘কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ’ দাগতেই এই সভা। সেই সভার মূল বক্তা হলেন দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
সন্দেশখালি: শাহজাহানের বিরুদ্ধে ফের FIR
২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনের আগেও ব্রিগেডে সমাবেশ করেছিল শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। সেবারের সমাবেশে জাতীয় স্তরের বিজেপি বিরোধী দলের নেতাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিল ঘাসফুল শিবির। দল নেত্রীর আমন্ত্রনে সমাবেশে হাজির ছিলেন অরবিন্দ কেজরীবাল, চন্দ্রবাবু নাইডু, কুমারস্বামী, শরদ পওয়ার, ফারুক আবদুল্লা, অখিলেশ যাদব, তেজস্বী যাদব, এমকে স্ট্যানিলের মতো নেতারাও। তবে গতবারের কৌশল ফের এবারেও খাটাতে চাইছে দল। কিন্তু এবারের গ্রাফটা যে অনেক আলাদা!
গতবারের লোকসভার আগে দলের ইমেজটা ছিল খানিকটা ‘ক্লাসের ফাস্ট গার্লের’ মতো। কিন্ত এবার হয়তো তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা। টুকলি করে পরীক্ষায় পাশ করতে গিয়ে ওমনি পড়ল হাতে নাতে ধরা, ব্যাস সোজা সিংহাসন থেকে শ্রীঘর। রাজ্যের নেতা-মন্ত্রী-আমলা, বড়বড় ব্যবসায়ী সকলেরই ওই এক হাল।
এদিকে শাসক দলের ওপর ফুঁসছে গোটা সন্দেশখালির মানুষ। সেই আঁচ পড়েছে গোটা রাজ্যে। তফসিলি কমিশন, জাতীয় মহিলা কমিশন সকলেই বলছে এক কথা। রাজ্যের পরিস্থিতি প্রশাসনের হাতের বাইরে বেড়িয়ে গেছে। এই পরিস্থিতিতে রাস্ত্রপতি শাসনই এক মাত্র ভরসা।
বাংলার মা-বোনেদের গায়ে পড়েছে ‘দুষ্ট রাবনের’ হাত তাই সেই ‘রাক্ষস বংশের’ কোনও রাজাকেই তারা আর মানতে নারাজ।