ইভিএম নিউজ ব্যুরো, ৭ জুলাইঃ (Latest News) ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার অবনতি, পঞ্চায়েত ভোটকে কেন্দ্র করে হিংসা ও মৃত্যু প্রসঙ্গে রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান সিভি আনন্দ বোস রাজ্য সরকার এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিংহাকে যে ভঙ্গিমায় আক্রমণ শানিয়েছেন সেটা কি তারই ইঙ্গিত?

বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের ডেকে রাজিব সিনহার উদ্দেশ্যে রাজ্যপালের বক্তব্য, ” নরক এখন শূন্য। সব শয়তান এখানে উঠে এসেছে। আপনার হাতে রক্ত লেগে রয়েছে। গঙ্গার সব জলও আপনার হাতে লেগে থাকা সেই রক্ত ধুয়ে ফেলতে পারবে না। ”

রাজ্যে ভোট পূর্ববর্তী হিংসাকে নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ রাজিবকে রাজ্যপালের কটাক্ষ, ” আপনি যদি এখনো সিদ্ধান্ত নিতে ব্যর্থ হন, তবে আরবের সুগন্ধিও আপনার হাতকে মিষ্টি করে তুলবে না। ”

এদিন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার কে পাপী বলতেও ছাড়লেন না আনন্দ বোস। রাজ্যপালের আক্রমণ, ” আপনার প্রভু জনতা, তাদের বিরুদ্ধে পাপে আপনার হাঁটু ডুবে আছে। মানুষ মনে করে, আদালত এবং সংবিধানের বিরুদ্ধে আপনি পাপ করছেন “।

সংবাদ মাধ্যম মারফত রাজ্যপালের প্রশ্ন,” হিংসা হানাহানির ঘটনার জন্য দায়ী কে? হত্যাকারী বা কে? আর এতেই আরো একধাপ জল্পনা উসকে দিয়ে বিরোধীদের প্রশ্ন, রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস নির্বাচন কমিশনার রাজিব সিনহাকে সামনে রেখে পরোক্ষে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যেই এই কটাক্ষগুলো করলেন না তো?

কিন্তু কি এই ৩৫৫ ধারা?

৩৫৫ ধারা হল ভারতীয় সংবিধানের একটি বিধান যা কেন্দ্রীয় সরকারকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সুরক্ষিত রাখার জন্য যেকোনো রাজ্যে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করার ক্ষমতা দেয়। এই আইনের প্রয়োগে রাজ্যের থানাগুলি থেকে প্রশাসনিক ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া হয়। রাজ্যগুলির আইন-শৃঙ্খলা কেন্দ্রীয় সরকার দ্বারা পরিচালিত হয়।

প্রসঙ্গত বাম জমানায় তৃণমূলও মাঝেমধ্যেই বাংলায় ৩৫৫ ধারা প্রয়োগের দাবি তুলত। আর এবার বিরোধী রাজনৈতিক শিবির গুলিও একই দাবিতে সরব হয়েছে বাংলার তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে।(EVM News)

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর