ব্যুরো নিউজ ২০ জুন: আহমেদাবাদে মর্মান্তিক এয়ার ইন্ডিয়া বিমান দুর্ঘটনায় অলৌকিকভাবে বেঁচে যাওয়া একমাত্র যাত্রী বিশ্বাসকুমার রমেশকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরেই তিনি তার মৃত ভাই অজয় রমেশের শেষকৃত্য সম্পন্ন করেছেন। ১২ জুন ঘটে যাওয়া এই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় ২৪২ জন আরোহীর মধ্যে একমাত্র তিনিই প্রাণে বেঁচেছিলেন।
গত ১২ জুন আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট AI-171 উড্ডয়নের পরপরই ভেঙে পড়ে। এই দুর্ঘটনায় প্রায় ২৭০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন, যার মধ্যে বিমানে থাকা যাত্রী ও ক্রু সদস্য ছাড়াও মাটির উপর থাকা বেশ কয়েকজন মানুষও ছিলেন। এই ভয়াবহতার মধ্যে ৪০ বছর বয়সী ব্রিটিশ নাগরিক বিশ্বাসকুমার রমেশের বেঁচে যাওয়াকে অলৌকিক ঘটনা হিসেবেই দেখছেন সবাই। তিনি বিমানের ১১এ আসনে বসেছিলেন, যা জরুরি নির্গমন দরজার পাশেই ছিল।
আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনায় মিলেছে মৃতদের পরিচয়
আহমেদাবাদের সিভিল হাসপাতাল থেকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিশ্বাসকুমারকে ছেড়ে দেওয়া হয়। হাসপাতালের মেডিকেল সুপারিনটেনডেন্ট রাকেশ যোশী জানিয়েছেন, ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে অজয়ের দেহাবশেষ শনাক্ত করার পর তা বিশ্বাসকুমারকে হস্তান্তর করা হয়েছে। এরপরই বিশ্বাসকুমার তার ভাইয়ের শেষকৃত্য সম্পন্ন করতে দিউ-এর বুচরওয়াড়া গ্রামে যান, যেখানে তাদের পৈতৃক বাড়ি।
দুর্ঘটনার পর ধ্বংসাবশেষ থেকে আহত অবস্থায় বেরিয়ে আসা বিশ্বাসকুমারের ছবি ও ভিডিও দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায়। তিনি নিজেই জানিয়েছিলেন, বিমানটি উড্ডয়নের ৩০ সেকেন্ডের মধ্যেই একটি বিকট শব্দ হয় এবং তারপরই বিমানটি ভেঙে পড়ে। জ্ঞান ফেরার পর তিনি দেখেন তার চারপাশে শুধু মৃতদেহ। এরপর ভয়ে তিনি উঠে দৌড়াতে শুরু করেন।
ফের হেলিকপ্টার দুর্ঘটনা কেদারনাথে: মৃত্যু ৬ জনের
বিশ্বাসকুমার রমেশের এই বেঁচে যাওয়া বিমান সুরক্ষা নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু করেছে। ১১এ আসনের “ম্যাজিক” নিয়েও জল্পনা শুরু হয়েছে, কারণ ২৭ বছর আগে অন্য একটি বিমান দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া এক থাই অভিনেতাও একই আসনে বসেছিলেন।
বিমান দুর্ঘটনা তদন্ত ব্যুরো (AAIB) দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত শুরু করেছে। ব্ল্যাক বক্স উদ্ধার করা হয়েছে এবং এর তথ্য বিশ্লেষণ করে দুর্ঘটনার আসল কারণ জানার চেষ্টা চলছে। টাটা গোষ্ঠী এবং এয়ার ইন্ডিয়া উভয়ই নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণের ঘোষণা দিয়েছে। এই মর্মান্তিক ঘটনায় দেশজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।