ইভিএম নিউজ, ২২ ফেব্রুয়ারিঃ জনগণের সুবিধার্থে এবার পঞ্চায়েত ভোটের আগেই বড় ঘোষণা রাজ্য সরকারের। রোগীর পরিবারের ভোগান্তি দূর করতেই স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে বড় পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিল স্বাস্থ্য দফতর। আগে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য খরচসীমা বরাদ্দ ছিল ৫ হাজার টাকা। সেই খরচসীমা বাড়িয়ে বর্তমানে করা হল ২৫ হাজার টাকা। ফলে স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা মনে করছেন এতে অনেকটাই রোগী ভোগান্তি মিটবে। তবে শুধুই খরচসীমার বরাদ্দ বাড়ানো নয় সঙ্গে নতুন পরিষেবাও মিলবে এই স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে।
সরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের মাধ্যমে এবার বাইরে থেকে কেনা যাবে কার্ডিওলজি ও অর্থোপেডিক চিকিৎসায় ব্যবহৃত পেসমেকার, স্টেন্ট, টাইটেনিয়াম প্লেট জাতীয় যন্ত্রাংশ। তবে এইসব পরিষেবায় রয়েছে কিছু শর্ত। প্রথমত, স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের মাধ্যমে যেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানো হবে সেটি বাধ্যতামূলকভাবে এনএবিএইচ শংসাপত্র দ্বারা স্বীকৃত বেসরকারি নার্সিংহোম বা হাসপাতাল হতে হবে। কারণ, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে অতিরিক্ত খরচের যে অভিযোগ তা বেশিরভাগই বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে উঠত। তাই এই পদক্ষেপ। দ্বিতীয়ত, স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের মাধ্যমে এবার কার্ডিওলজি ও অর্থোপেডিক চিকিৎসায় ব্যবহৃত যন্ত্রাংশ সরকারি হাসপাতালে কেনা যাবে। যে সুবিধাটি এতদিন সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করতে আসা রোগীরা পেতেন না। এবার তা মিলবে।
স্বাস্থ্য দফতরের দাবি, অনেকসময় দেখা গেছে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প চালু হওয়ার পর থেকেই নানা অভিযোগ সামনে এসেছে। আর অত্যধিক টাকার বিল নিয়ে যেসব অভিযোগ গুলি উঠেছে তা বেশিরভাগই বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে। তাই বিলের এই কারচুপি রুখতে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বেসরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের জন্য তৈরি করা হয়েছে স্টেট এবং ডিস্ট্রিক্ট সার্ভেলেন্স টিম। ২০০ জন চিকিৎসককে নিয়ে এই দল গঠন করা হয়েছে। ফলে বেসরকারি হাসপাতালের বিলে এবার ৩০ শতাংশের ‘র্যান্ডম অডিট’ করা হবে। বিলের টাকার অঙ্কে কোনও ভুল ধরা পড়লেই সেই বিলের টাকা ফিরিয়ে দিতে হবে হাসপাতালকে। আর যদি বারংবার একই হাসপাতালের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে সেক্ষেত্রে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে।