ইভিএম নিউজ ব্যুরোঃ এতদিন গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ ছিল স্বামী আর শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে। এবার সেই ঘটনা ঘুরে গেল ১৮০ ডিগ্রী। উল্টে অভিযোগকারী স্ত্রীর বিরুদ্ধেই গুরুতর অভিযোগ করলেন অভিনেতা-স্বামী নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকি। আদালতে নওয়াজউদ্দিন ও পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে লাগাতার অত্যাচারের অভিযোগে দিয়ে মামলা দায়ের করেছেন, বলিউডি অভিনেতার স্ত্রী আলিয়া। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানিতে, আদালতে আলিয়ার বিরুদ্ধেই বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন, নওয়াজুদ্দিনের আইনজীবী।
ভরা এজ্লাসে আইনজীবীর দাবি, “আলিয়া তাঁর প্রথম স্বামী বিনয় ভার্গবের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ না করেই ২০১০ সালে নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকির সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। আর সেই বিয়েতে যাতে কোনও আইনি ঝঞ্ঝাটে না জড়িয়ে পড়েন, সেই জন্য নওয়াজের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার আগে ধর্ম পরিবর্তন করেন”। আদালতে নওয়াজউদ্দিনের আইনজীবী আরও দাবি করেছেন,বিয়ের আগে তাঁর নাম ছিল অঞ্জলি। পরে মুম্বইয়ে এসে ২০০১ সালে তিনি নাম পরিবর্তন করে অঞ্জনা পাণ্ডে হন। এমনকী বিয়ের কিছুদিনের মধ্যেই নওয়াজউদ্দিনের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের ইতি ঘটেছিল। এরপর অভিনেতার কর্মজীবনের উত্থান আর সাফল্য দেখে আবারও স্বামীর কাছে ফিরে আসেন আলিয়া। এমনকী, বিয়ের আগে নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কেও, স্বামী নওয়াজউদ্দিনের কাছে মিথ্যে তথ্য দিয়েছিলেন আলিয়া। আদালতে দাখিল করা অভিযোগে অভিনেতার আইনজীবী জানিয়েছেন, আলিয়া আসলে ক্লাস এইটে ফেল করার পর আর লেখাপড়া করেননি।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই স্বামী নওয়াজের বিরুদ্ধে তাঁকে এবং তাঁর সন্তানদের ওপর অত্যাচারের অভিযোগ করেছিলেন আলিয়া। জানিয়ে রীতিমতো আলোচনায় মশগুল হয়ে উঠেছিল বলিউডের ফিল্মি মহল্লা। আর এবার সেই আলিয়ার বিরুদ্ধে আদালতে গুরুতর অভিযোগ আনলেন অভিনেতা। সমাজবিশেষজ্ঞদের একটা অংশের মতে, সম্পর্ক যে তিক্ততায় পৌঁছে গিয়েছে, তাতে বিবাহবিচ্ছেদ এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।