ইভিএম নিউজ ব্যুরো, ১৫ ফ্রেব্রুয়ারিঃ বেআইনি মদ বিক্রির প্রতিবাদ করায়, তৃণমূলের অঞ্চল যুব সহ-সভাপতির বাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠলো, তৃনমূলেরই অঞ্চলের উপপ্রধান ও তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে। বাড়িতে হামলার পাশাপাশি, তৃণমূলের ওই প্রতিবাদী যুব সহসভাপতির বাবাকে লোহার রড দিয়ে বেধড়ক মারধরের পাশাপাশি, তাঁর স্ত্রীকেও মারধর ও শ্লীলতাহানি করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। গোটা ঘটনা নিয়ে মালদহের ইংরেজবাজার থানায় সনকা মণ্ডল নামে অভিযুক্ত ওই তৃণমূল উপপ্রধান ও তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন, আক্রান্ত তৃণমূল যুবনেতার পরিবার।
স্থানীয়সূত্রে জানা গিয়েছে, ইংরেজবাজার ব্লকের যদুপুর ২ নম্বর অঞ্চলের গোপালপুর যুব তৃণমূলের সহসভাপতি হলেন সম্রাট দত্ত। শাসকদলের স্থানীয় এই যুবনেতা তাঁর বাবা শংকর দত্তের অভিযোগ যদুপুর ২ নম্বর অঞ্চলের তৃণমূল উপপ্রধান সনকা মন্ডল, দীর্ঘদিন ধরেই এলাকায় চপ সিঙ্গারার দোকানের আড়ালে, বেআইনি মদ বিক্রির ব্যবসা করত। এমনকী, সমাজবিরোধী কার্যকলাপের সঙ্গেও তৃণমূলের ওই অঞ্চল উপপ্রধান যুক্ত ছিল লিখিত অভিযোগ করেছেন, এলাকার যুব তৃণমূল নেতা সম্রাট দত্ত ও তাঁর পরিবার। আর সেই বেআইনি মদবিক্রির প্রতিবাদ করার কারণেই তাঁর ও তাঁর পরিবারের ওপর, সনকা মণ্ডল ও তাঁর দলবল হামলা চালিয়েছে বলে, তৃণমূল যুবনেতার অভিযোগ।
যদিও নিজের বিরুদ্ধে ওটা এই চাঞ্চল্যকর অভিযোগকে যথারীতি ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিতে চেয়েছেন, যদুপুর ২ নম্বর অঞ্চলের তৃণমূল উপপ্রধান সনকা মণ্ডল। উল্টে অভিযোগকারী তৃণমূলের যুব অঞ্চল সহসভাপতি দলের কেউ নয় বলে দাবি করেছেন, অভিযুক্ত সনকা মণ্ডল। অন্যদিকে চাঞ্চল্য এই ঘটনার কথা জেনে, মালদহের শীর্ষ তৃণমূলনেতা তথা দলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী জানিয়েছেন, ঘটনার কথা তিনি শুনেছেন। কেউ অন্যায় করে থাকলে দল তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।
বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি জেলা বিজেপি। বিজেপির দক্ষিণ মালদহ সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুরী মন্তব্য, চাকরিবিক্রি, ঘরবিক্রির পাশাপাশি, এবার মদবিক্রির ভাগাভাগি নিয়েও তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল প্রকাশ্যে আসছে। পুলিশ প্রশাসন এই বেআইনি মদবিক্রির বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নিক।
সবমিলিয়ে, স্পর্শকাতর আর বেআইনি এই ঘটনায় দলের নীচুতলার সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ার ঘটনা, আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলের ভোটব্যাঙ্কে কতটা প্রভাব ফেলে, এখন সেটাই দেখার।