পৃথিবীর দীর্ঘতম নদীতে তার বাস। নাম গুস্তাভ। সে এতো ভয়ঙ্কর যে একাই নীল নদের জল রক্তে লাল করে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। ইতিমধ্যেই প্রায় শতিনেক মানুষ গিলে খেয়েছে সে। আসলে গুস্তাব এক দৈত্যাকার কুমীর। আর এটিই নাকি গোটা আফ্রিকা মহাদেশের সবথেকে বড় সরীসৃপ। প্রায় ২০ ফুট লম্বা। ওজন ৯০০ কেজিরও বেশি অর্থাৎ প্রায় এক টন। ১৯৮৭ সালে প্রথম খবরের শিরোনামে আসে। সেই সময় সে বেশ কয়েকজন মানুষকে খেয়ে ফেলে। এরপর থেকেই বারে বারে নীল নদের পাড়ে হানা দিতে থাকে। তার উৎপাত এতোটাই বেড়ে যায় যে বুরুন্ডি-র সরকার কুমীর বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নিতে বাধ্য হয়। কিন্তু বাগে আনা যায়নি ওই কুমীরকে। ২০০১ সালে এক কুমীর বিশেষজ্ঞ তার নাম দেন গুস্তাভ। টাঙ্গানাইকা হ্রদের এক ছোট্ট দ্বীপে তার বাস। মাঝে মধ্যে নীল নদের এক শাখানদী রুজিজিতেও তাকে দেখতে পাওয়া যায়। গুস্তাভ সেখানকার মানুষের কাছে এক মূর্তিমান আতঙ্ক। পশুপালকরা ছাগল, বাছুরদের নিয়ে এসে নদীতে স্নান করায়। কিন্তু ওইসব পশুর দিকে গুস্তাভের নজর নেই। তার প্রিয় খাদ্য মানুষ। মৎস্যজীবী, নদীতে স্নান করতে আসা পুরুষ মহিলারা হরদম তাঁর শিকার হন। গুস্তাভ খুব চালাক। বহুবার তাকে ধরার জন্য ফাঁদ পাতা হয়েছে। কিন্তু সুকৌশলে ফাঁদ এড়িয়ে গেছে সে। তাকে গুলিও করা হয়েছে তিনবার। কিন্তু তারপরেও সে বেঁচে আছে, আর আতঙ্ক ছড়িয়ে বেড়াচ্ছে নিলনদের একটা বড় অংশের দু-কুল জুড়ে।