সাগর

ব্যুরো নিউজ, ৫ অক্টোবর: সাগরের মহিষামারি গ্রামে হুগলি নদীর বাঁধে বড়সর ভাঙন

নিম্নচাপের জেরে দক্ষিণবঙ্গে শুরু হয়েছে বৃষ্টির ঝড়ো ইনিংস। নিম্নচাপ ও কোটালের জোড়া ফালায় দক্ষিণ ২৪ পরগনা উপকূল তীরবর্তী এলাকার বিভিন্ন নদী বাঁধগুলিতে ইতিমধ্যেই ফাটল দেখা দিয়েছে। নদী বাঁধে ফাটলের কারণে রাতের ঘুম উড়েছে উপকূল তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের।

প্রকৃতির রোশে তছনছ উত্তর সিকিম

ইতিমধ্যে কোটালের কারণে সুন্দরবনের উপকূল তীরবর্তী এলাকার নদীগুলিতে জলোচ্ছ্বাস দেখা দিয়েছে। এবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার গঙ্গাসাগর গ্রাম পঞ্চায়েতের মহিষামারি গ্রামে হুগলি নদীর মাটির নদী বাঁধে নামলো বড়সড় ধস। প্রায় ১০০ মিটারের মতোন মাটির নদী বাঁধ নদী গর্ভে তলিয়ে যেতে শুরু করেছে। ফলে আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা।

এই নদী বাঁধের পাশে রয়েছে বেশ কয়েকটি গ্রাম ও কয়েকশো বিঘে চাষের জমি। নদী বাঁধ ভেঙে গেলে নদীর জলে প্লাবিত হবে গ্রাম ও চাষের জমি। আতঙ্কে নদী বাঁধ পাহারা দিচ্ছে গ্রামবাসীরা। নদী বাঁধের বেহাল দশায় কথা বারংবার প্রশাসনকে জানানো হয়েছে, কিন্তু তাতে কোন সুরা হয়নি বলে অভিযোগ।

নিম্নচাপের জেরে যে লাগাতার টানা বৃষ্টি হচ্ছে তার ফলে মাটির নদী বাঁধের মাটি ধুয়ে যেতে শুরু করেছে। পাশাপাশি হুগলি নদীতে কোটালের কারণে প্রবল জলোচ্ছ্বাসের ফলে নদী বাঁধে ধস। পুজোর আগে যদি বাঁধ মেরামতি না হয়। তাহলে পুজোর সময় যে ঝড় আসার সম্ভাবনা জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর, সেই দুর্যোগে গোটা গ্রাম প্লাবিত হয়ে যাবে। এমনটাই আশঙ্কা স্থানিয়দের।

ইতিমধ্যেই স্থানীয় ব্লক প্রশাসনের তরফ থেকে উপকূল তীরবর্তী এলাকার মানুষ জনকে নিরাপদ আশ্রয় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া কথা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই বিষয়ে গঙ্গাসাগর গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য বিকাশ দাস বলেন, “সেচ দফতরের তরফ থেকে এই বাঁধ মেরামতির কাজ শুরু হয়েছিল। অস্থায়ীভাবে এই নদী বাঁধ মেরামতির কাজ সম্পন্ন হয়েছিল। নদী বাঁধে চট ও বালির বস্তা দেওয়ার কথা ছিল কিন্তু সে কাজ সম্পন্ন হয়নি।” নিম্নচাপ ও  কোটালের জোড়া ফালায় মাটির নদী বাঁধে ধ্বস নেমেছে। দ্রুততার সঙ্গে প্রশাসন এই নদী বাঁধ মেরামতির কাজ শুরু করুক। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, “এই বেহাল নদী বাঁধ যত দ্রুত মেরামতি করুক প্রশাসন। নাহলে আমরা সবাই ভেসে যাব।” ইভিএম নিউজ

সাগর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর