ইভিএম নিউজ ব্যুরো, ২০ ফেব্রুয়ারিঃ দু’ বছর আগে ধুমধাম করে উদ্বোধন হয়েছিল রাস্তার কাজ। সময়সীমা ধরা হয়েছিল ২ বছর ৭ মাস। আর বরাদ্দ হয়েছিল ১২৬ কোটি টাকা। কিন্তু ঘোষিত সময়সীমা শেষ হওয়ার মাত্র পাঁচমাস আগে দেখা গেল, ঘাটাল থেকে পাঁশকুড়াগামী প্রায় ৩১ কিলোমিটার সেই সড়কের ৫০ ভাগ কাজও সম্পন্ন হয়নি। প্রশ্ন উঠেছে, বাকি ৫০ ভাগ কাজ কি মাত্র পাঁচমাসের মধ্যে শেষ করা সম্ভব? আর এমনই পরিস্থিতিতে সড়ক উন্নয়নের প্রকল্পে এই স্লথগতির জন্য অভিযোগের আঙ্গুল উঠেছে, গাছটির বরাত পাওয়া ঠিকাদার সংস্থার দিকে। অভিযুক্ত ঠিকাদারের শাস্তির পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তার হাল ফেরাতে অবিলম্বে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হস্তক্ষেপ দাবি করল, এখানকার বাস মালিকদের সংগঠন। সংগঠনের দাবি প্রায় আড়াই বছর আগে, একটি মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনার পরপরই, সরকারের তরফে এই রাস্তা নতুন করে তৈরীর কাজ শুরু করার ঘোষণা করা হয়েছিল। এই রাস্তায় বাস-লরি সহ নানা ধরনের যানবাহনের অত্যন্ত চাপ থাকে। ফলে সময়ের মধ্যে রাস্তা সংস্কার না হলে দুর্ঘটনা বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।
প্রসঙ্গত, বিধানসভায় চলতি আর্থিক বছরের বাজেট পেশ করতে গিয়ে, আগামী দু তিন মাসের মধ্যে, প্রায় সাড়ে এগারো হাজার কিলোমিটার নতুন রাস্তা তৈরির ঘোষণা করেছেন, রাজ্যের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। বিরোধীদের দাবি— শুধুমাত্র মুখ্যমন্ত্রীর পঞ্চায়েত ভোটমুখী পরিকল্পনার অঙ্গ হিসেবে, জেলা তথা গ্রামের প্রান্তিক মানুষদের মন জয় করতে, এই ঘোষণা করা হয়েছে। আর রাজ্যে সত্যিকারের উন্নয়নের চিত্রটা যে কী, সেটাই বুঝিয়ে দিচ্ছে, ঘাটাল থেকে পাঁশকুড়াগামী রাস্তা নির্মাণের এই শম্বুকগতি।