ব্যুরো নিউজ ২৪ জুন: বহু প্রতীক্ষিত অ্যাক্সিওম-৪ মিশন, যেখানে ভারতীয় গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভ্রাংশু শুক্লা পাইলট হিসেবে মহাকাশে যাবেন, সেটি আগামীকাল, ২৫শে জুন, ২০২৫ তারিখে উৎক্ষেপণের জন্য নির্ধারিত হয়েছে। নাসার, অ্যাক্সিওম স্পেস এবং স্পেসএক্সের এই যৌথ উদ্যোগটি এর আগে বেশ কয়েকবার স্থগিত হয়েছিল, যার কারণ ছিল ফ্যালকন ৯ রকেটের প্রযুক্তিগত ত্রুটি, আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (ISS)-এ ফাঁস এবং প্রতিকূল আবহাওয়া।
ফ্লোরিডার নাসার কেনেডি স্পেস সেন্টারের লঞ্চ কমপ্লেক্স ৩৯এ থেকে স্পেসএক্স ফ্যালকন ৯ রকেট এবং ড্রাগন মহাকাশযানে করে এই মিশনটি উৎক্ষেপণ করা হবে। ভারতীয় সময় অনুসারে আগামীকাল দুপুর ১২:০১ টায় এর উৎক্ষেপণের সম্ভাবনা রয়েছে। ক্রুদের ২৬শে জুন, ২০২৫ তারিখে ISS-এ ডক করার কথা, যা ভারতীয় সময় অনুসারে প্রায় বিকাল ৪:৩০ টায় হবে।
গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভ্রাংশু শুক্লা, ভারতীয় বিমান বাহিনীর একজন অভিজ্ঞ পাইলট, এই মিশনের পাইলট হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। এর মাধ্যমে তিনি ১৯৮৪ সালে উইং কমান্ডার রাকেশ শর্মার পর দ্বিতীয় ভারতীয় নভোচারী হিসেবে মহাকাশে যাবেন এবং তিনিই প্রথম ভারতীয় যিনি আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন পরিদর্শন করবেন। এই ঐতিহাসিক মিশনের জন্য ভারত সরকার অ্যাক্সিওম স্পেসের কাছ থেকে প্রায় ৫৫০ কোটি টাকা দিয়ে একটি আসন কিনেছে।
চার সদস্যের আন্তর্জাতিক এই ক্রুতে শুভ্রাংশু শুক্লা ছাড়াও রয়েছেন কমান্ডার পেগি হুইটসন (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র), এবং মিশন বিশেষজ্ঞ স্লাওস উজনানস্কি-ভিসনিয়েস্কি (পোল্যান্ড) এবং টিবর কাপু (হাঙ্গেরি)।
ভারত পেল ইন্টারপোলের প্রথম সিলভার নোটিশ, বিদেশে অপরাধী সম্পত্তি চিহ্নিতকরণে সহায়ক
আইএসএস-এ তাদের প্রায় পনেরো দিনের অবস্থানের সময়, ক্রুরা প্রায় ৬০টি বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা পরিচালনা করবেন। এর মধ্যে সাতটি পরীক্ষা ভারতীয় গবেষকদের দ্বারা প্রস্তাবিত, যা মহাকাশে মানব গবেষণা, পৃথিবী পর্যবেক্ষণ এবং জীবন, জৈবিক ও বস্তুর বিজ্ঞান সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। এই মিশনটি ভারত, পোল্যান্ড এবং হাঙ্গেরির জন্য একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ, কারণ এটি এই দেশগুলির প্রথম মহাকাশ স্টেশন মিশন এবং ৪০ বছরেরও বেশি সময় পর তাদের দ্বিতীয় সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত মানব মহাকাশ যাত্রা।
মিশনটি মহাকাশ গবেষণায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং বাণিজ্যিক মহাকাশ উদ্যোগের ক্রমবর্ধমান গুরুত্বের ওপর জোর দিচ্ছে। উৎক্ষেপণটি সফল হলে, এটি ভারতের মহাকাশ কর্মসূচির জন্য একটি মাইলফলক হবে এবং মহাকাশ অনুসন্ধানে দেশের ক্রমবর্ধমান সক্ষমতা তুলে ধরবে।