ইভিএম নিউজ ব্যুরো, ২৮ জুলাইঃ (Latest News) এবার বিধানসভায় দাঁড়িয়ে মমতার বিরুদ্ধে সরাসরি দুর্নীতির অভিযোগ আনলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দুর অভিযোগ, সম্প্রতি “সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী” নামে যে হেল্প লাইন নম্বর চালু করেন মমতা এবং এই গোটা প্রক্রিয়া পরিচালিত হয় “গ্রীভান্স সেল “ নামে যে সংস্থার মাধ্যমে, সেই সংস্থার পরিকাঠামো তৈরীর টেন্ডার নিয়ম বহির্ভূত উপায়ে পাইয়ে দেওয়া হয়  নামের একটি সংস্থাকে।

শুভেন্দু আরও বলেন, প্রথমে এই ‘গ্রীভান্স সেলের’ পাঠামো তৈরীর জন্য টেন্ডার দায়িত্ব দেওয়া হয় তথ্য এবং প্রযুক্তি দফতরকে। সেই মোতাবেক তথ্য এবং প্রযুক্তি দফতর টেন্ডার ডাকার প্রক্রিয়া শুরু করলে বেশ কয়েকটি সংস্থা এই টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে। স্বাভাবিক নিয়মেই দিল্লির একটি সংস্থা এই টেন্ডার পেলেও মুখ্যমন্ত্রীর মনপসন্দ না হওয়ায় সেই সংস্থার টেন্ডার বেআইনিভাবে বাতিল করা হয়। এই টেন্ডার বাতিলের জন্য মুখ্যমন্ত্রী নিজে চাপ সৃষ্টি করে এই তথ্য ও প্রযুক্তি দফতরের আধিকারিকদের ওপর। মুখ্যমন্ত্রীর চাপ সৃষ্টির পরই তথ্য ও প্রযুক্তি দপ্তর এই টেন্ডার বাছাইয়ের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চায়। তারপর এই দায়িত্ব যায় WBTL-এর ওপর। তারপরই এই দায়িত্ব সরাসরি চলে যায় I-Pac এর কাছে। এবং এই কাজের জন্য তাদেরকে প্রায় দেড়শ কোটি টাকা দেওয়া হয়।

শুভেন্দুর বিস্ফোরক দাবি, ‘আমাকে এই নথি বড়বড় আইএএস অফিসাররা দিয়েছেন। সরকারে সবাই অসৎ,এমনটা নয়। ১৫০ কোটি টাকা দিয়ে ওই সংস্থা ইতিমধ্যে ৩৫০ জনকে নিয়োগ করেছে। এরা শুধু সরকারের কাজ করে না, তৃণমূলের কারা পঞ্চায়েতে লড়বে সেই প্রার্থীও ঠিক করেছে এরাই। পঞ্চায়েত প্রধান থেকে শুরু করে জেলাপরিষদের সভাধীপতিও বেছে নেবে আইপ্যাকের ছোকড়ারাই। তৃণমূলের প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের কোনও মূল্য নেই।আমার আপনার ট্যাক্সের টাকায় তাদের বেতন দিতে হবে। এই টাকা থেকে তৃণমূলও কাটমানি নিয়েছে বলে আমার বিশ্বাস।’ মুখ্যমন্ত্রীর এই আচরণের বিরুদ্ধে বিরোধী দলনেতা রাজ্যপালের হস্তক্ষেপও দাবি করেছেন। (EVM News)

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর